করোনা মোকাবিলায় সরকার আগেই ব্যর্থ হয়েছে: মির্জা ফখরুল

রংপুরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, করোনা মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ সরকার আগেই ব্যর্থ হয়েছে। সরকার করোনা থেকে মানুষকে বাঁচাতে অবশ্যই পরাজিত হয়েছে। যেনতেন পরীক্ষার নামে তারা ফলাফল প্রকাশ করেছে। করোনা টেস্টের নামে তারা বিভিন্ন জটিলতা করেছে।

সোমবার বিকেলে রংপুর সদরের পাগলাপীরের ভিন্নজগতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে দলের বিভাগীয় উদ্‌যাপন কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, করোনা ভ্যাকসিন বিষয়ে সরকার সুশৃঙ্খল অবস্থান তৈরি করতে পারছে না। কে ভ্যাকসিন পাবে, কে পাবে না, সে বিষয়ে কিন্তু এখন পর্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য কোনো রোডম্যাপ তৈরি করতে পারেনি সরকার। মানুষকে বোঝাতে সক্ষম হয়নি। যাঁরা বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, তাঁদের জন্য কোনো অপশন রাখা হয়নি, এমন অভিযোগও উঠেছে।

করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে জনগণের দুশ্চিন্তা ও বিভ্রান্তি দূর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্য সব মন্ত্রী ও এমপির সবার আগে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকার যদি মানুষের আস্থা ফেরাতে না পারে, তাহলে করোনা ভ্যাকসিনের সমস্যা থেকে যাবে। অনেক জায়গায় ডাক্তাররাও বলছেন, তাঁরা এখন টিকা নেবেন না। তার মানে, তাঁরাও সংশয়ে রয়েছেন। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞরা এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে আরও বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলছেন।

কুষ্টিয়ার হাইকোর্টে পুলিশ সুপারকে নিয়ে সতর্কতামূলক বার্তা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারা জনগণের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। ফলে তারা পুলিশ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। আজ আদালতের বিচারক কুষ্টিয়ার এসপিকে যে আদেশ দিয়েছেন, এ জন্য আদালতকে ধন্যবাদ। এটাই সত্য, পুলিশ তার দায়িত্ব থেকে সরে গেছে। এখন দেশ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, আদালতের নির্দেশেই তা স্পষ্ট।

নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো আস্থা নেই উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘শুধু গণতান্ত্রিক দল বলে আমরা চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের কোনো আস্থা নেই। এটি একটি পক্ষপাতদুষ্ট একপক্ষীয় নির্বাচন কমিশন। আমরা বেশ কয়েক বার তাদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছি। আমরা আশা করি, সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে নির্বাচন হবে, কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক সাংসদ বিলকিস ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, রংপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদ প্রমুখ।

 

সুত্রঃ প্রথম আলো