করোনা টিকা নিলেন সুবর্ণা মোস্তফা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: টিকা নিলেন গুণী অভিনেত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য সুবর্ণা মোস্তফা। আজ সংসদ ভবনে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী টিকা গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। সুবর্ণা মোস্তফা লিখেছেন, ‘আমার ভ্যাকসিন নেওয়া সম্পন হলো। জনগণকে অত্যন্ত যত্নের সাথে টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জয়বাংলা।’

অভিনেত্রী তারিন, অভিনেত্রী তানিয়া, ইন্তেখাব দিনার, সুমাইয়া শিমু, তানভিন সুইটি, সাইমন সাদিক, নির্মাতা শিহাব শাহীন, সঙ্গীতশিল্পী এলিটা করিম, সঙ্গীতশিল্পী কোনাল, দীপা খন্দকার, সাজু খাদেম, মিলি বাশারসহ ছোট বড়ো পর্দার তারকারা সুবর্ণা মোস্তফার জন্য শুভাশীষ প্রকাশ করেছেন। তারিন প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আলহাদুলিল্লাহ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিশাল ধন্যবাদ। জয়বাংলা।’

সুবর্ণা মোস্তফা অভিনেতা গোলাম মুস্তাফার কন্যা এবং ক্যামেলিয়া মোস্তফার বোন। ১৯৮০-এর দশকে তিনি বাংলাদেশের অন্যতম দর্শকপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। বিশেষ করে আফজাল হোসেন এবং হুমায়ুন ফরীদির সাথে তার জুটি ব্যাপক দর্শক সমাদর লাভ করে। এছাড়া তিনি হুমায়ূন আহমেদের লেখা কোথাও কেউ নেই ও আজ রবিবার টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। টেলিভিশন নাটকের পাশাপাশি তিনি ২২ বছর মঞ্চে অভিনয় করেন।

সুবর্ণা ১৯৮৩ সালে নতুন বউ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল ঘুড্ডি (১৯৮০), নয়নের আলো (১৯৮৪), পালাবি কোথায় (১৯৯৭) ও গহীন বালুচর (২০১৭)। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।

সুবর্ণা মুস্তাফা ১৯৬০ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক নিবাস ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নে। তার পিতা গোলাম মুস্তাফা ছিলেন একজন প্রখ্যাত অভিনেতা ও আবৃত্তিকার। তার মাতা হোসনে আরা পাকিস্তান রেডিওতে প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন। মায়ের সহায়তায় মাত্র ৫/৬ বছর বয়সে বেতার নাটকে কাজ করেন। নবম শ্রেণীতে পড়াকালীন তিনি প্রথম টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন। ১৯৭১ সালের পূর্ব পর্যন্ত তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে নিয়মিত টেলিভিশনে কাজ করেছেন।

১৯৭০-এর দশকে সুবর্ণা ঢাকা থিয়েটারে নাট্যকার সেলিম আল দীনের নাটক জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন-এ অভিনয় করেন। ১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ঘুড্ডি ছবির মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র জগতে আসেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ছবিটিকে “সময়ের আগে নির্মিত একটি ছবি, অ্যাহেড অব ইটস টাইম” বলে উল্লেখ করেন। ১৯৮৩ সালে নতুন বউ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। নয়নের আলো (১৯৮৪) ছবিতে তার অভিনয় সব শ্রেণীর দর্শককে নাড়া দিয়েছিল।

সূত্র: কালের কন্ঠ