‘করোনা ও ডেঙ্গুর সঙ্গে যুদ্ধ চলছে’

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের এখন করোনা, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চলছে। তিন শক্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেই চলতে হচ্ছে। এরই মধ্যে ঢাকাতে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। চট্টগ্রামে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে না পারলে ভয়ানক আকার ধারণ করতে পারে।

মঙ্গলবার চসিকের সম্মেলন কক্ষে মশার ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) গবেষকদলের প্রতিবেদন হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। উপস্থিত ছিলেন গবেষকদলের সদস্য, কাউন্সিলর ও চসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

চবির গবেষণা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ফগার মেশিন দিয়ে এত ওষুধ ছিটানোর পর চট্টগ্রামের নাগরিকেরা বলেন, মশার কামড়ে অতিষ্ঠ। এরপর চিন্তা করলাম ওষুধের কার্যকারিতা নির্ণয়ের। চবি উপাচার্যকে অনুরোধ জানাই, মশার ওষুধ নিয়ে গবেষণার জন্য। আজ সেই কাজের প্রতিবেদন সবার সামনে উপস্থাপিত হলো। মেয়র বলেন, এখন আমরা আশ্বস্ত হতে পেরেছি কোন ওষুধ ব্যবহার করলে মশা মারতে পারব। আগে বছরের পর বছর মশার ওষুধ ব্যবহার করেছি কিন্তু আন্দাজে ব্যবহার করেছি। হয়তো কখনো বেশি ওষুধ ব্যবহার করেছি, কখনো কম ব্যবহার করেছি। পুরোপুরি সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি। আজ একটি যুগান্তকারী দিন। আমরা একটু স্বস্তি পাচ্ছি- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদল আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। পথ দেখিয়েছেন মশকনিধন ও ওষুধের কার্যকারিতার বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা দিয়েছেন। সেই ধারণা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।

সিটি মেয়র বলেন, বুধবার থেকে মশকনিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু হবে। একদিনে ৪টি ওয়ার্ডে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালাব। এক সঙ্গে ১০০ জন মশকনিধনকর্মী কাজ করবে। ১০ দিনে সব ওয়ার্ড শেষ করব। এক মাস ৪১ ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে এ কর্মসূচি চলবে। ইতোমধ্যে দেড় হাজার ভলান্টিয়ার নিয়োগ দিয়েছি। তারা ঘরে ঘরে গিয়ে অসচেতন জনগণকে সচেতন করবে। যারা ছাদবাগান করেছে সেখানে টবে পানি জমে আছে, পরিস্কার করছে না। আমাদের ভলান্টিয়ার ওই পানি ফেলে দেবেন। অবশ্য সব জায়গায় ওঠা সম্ভব হবে না। তারা বার্তা দেবে- স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশার লার্ভা জন্মে। মাইকিং, লিফলেট, স্বেচ্ছাসেবীর কাজ চলছে।

তিনি বলেন, একটি স্প্রে মেশিনের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি দাম ফগার মেশিনের। এ মেশিনের পরিবর্তে যে স্প্রে মেশিন ব্যবহার করতাম তা নিয়ে এগিয়ে গেলে অনেক বেশি সুফল পাব। স্প্রে মেশিন সবচেয়ে উপযোগী বলে মনে করি। ফগার মেশিন দিয়ে যে ওষুধ ছিটানো হয় তার কার্যকারিতা নগন্য। লার্ভিসাইড এডাল্টিসাইড মেশিন দিয়ে ওষুধ স্প্রে করলে বেশি সুফল পাব।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন