প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড ১৯) আক্রান্ত হয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও ছয়জন নারী। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ হাজার ৯৭০ জনে।
একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৩৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৫ জনে। এর আগের দিন (২৪ নভেম্বর) তিনজনের মৃত্যু ও শনাক্ত হয়েছিল ৩১২ জন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি ৮৩৬টি ল্যাবরেটরিতে ১৮ হাজার ৮৩২টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৮ হাজার ৮৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হন ২৩৭ জন। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৮ লাখ ১ হাজার ৮৬৯টি। এতে শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৫ জন। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের মোট হার ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, নয়জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, ষাটোর্ধ্ব একজন, সত্তোরোর্ধ্ব পাঁচজন ও আশির্ধ্ব একজন মারা গেছেন।
মারা যাওয়াদের বিভাগওয়ারি হিসাবে ঢাকা বিভাগে ছয়জন এবং চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরে একজন করে মারা গেছেন। বাকি বিভাগগুলোতে কারও মৃত্যু হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৩৬০ জন। তাদের নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো মোট ১৫ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫৩ জনে। প্রতি ১০০ জনে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
সুত্রঃ জাগো নিউজ