করোনাভাইরাস: ১০৫ দিন ভেন্টিলেশনে থেকে সুস্থ হলেন যে নারী

বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে মেডিক্যাল মিরাকল ঘটল ইংল্যান্ডে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৩০ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৩৫ বছরের ফাতেমা ব্রিডল।

৪০ দিন কোমায় ছিলেন তিনি। মুখের মধ্য দিয়ে টিউব ঢুকিয়ে স্যালাইন মিশ্রন দিয়ে তার ফুসফুস পরিষ্কার করা হয়। ১০৫ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ। নিজে থেকে শ্বাস নিতে পারছেন। এবার তিনি দ্রুত বাড়ি ফিরবেন বলে জানা গেছে।

ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, ফাতেমার সুস্থ হওয়ার তিনি খুশি। তার স্বামী সাবেক সেনা কর্মী ট্রেসি ব্রিডল জানিয়েছেন, তার স্ত্রী মেডিক্যাল মিরাকল। এভাবে এতদিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর এভাবে সুস্থ হয়ে ওঠা অসাধারণ ব্যাপার।

সূত্রের খবর, গত ১২ মার্চ ফাতেমাকে সাউদাম্পটন জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১ মাস মরক্কোর মোহম্মেদিয়ায় ছুটি কাটিয়ে ৬ মার্চ ইংল্যন্ড ফিরেছিলেন তিনি। তারপর থেকে অসুস্থ বোধ করছিলেন। তার স্বামী ট্রেসি ব্রিডল প্রথম করোনা আক্রান্ত হন। এরপর আক্রান্ত হন তিনি।

এরপরই ফাতেমাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বেশ কয়েকদিন ধরে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলেও তা কাজ করেনি। ১৮ মার্চ তাকে ইনটেনসিভ কেয়ারে দেওয়া হয়। করোনা সঙ্গে একই সঙ্গে নিউমোনিয়া ও সেপসিসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন।

দীর্ঘ ৪০ দিন যাবৎ কোমায় ছিলেন ফাতেমা। মুখের মধ্য দিয়ে টিউব ঢুকিয়ে স্যালাইন মিশ্রন দিয়ে তার ফুসফুস পরিষ্কার করা হয়। এপ্রিলের শেষে তাঁর করোনা সেরে যায় কিন্তু নিউমোনিয়ার চিকিৎসা চলতে থাকে। পরের মাস থেকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টও কমিয়ে দেওয়া হয়।

কিছুদিন পর তার স্বাস্থ্যে লক্ষ্যণীয় উন্নতি হয়, নিজে থেকে শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ৪০ শতাংশ। এপ্রিলের শেষে তার করোনা সেরে যায়। এরপর চলে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা। ১০৫ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর এখন তিনি অনেকটা সুস্থ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আগের থেকে বেশি কথা বলতে পারছেন, ওয়াকার নিয়ে হাঁটতেও পারছেন। নিজে থেকে ৭০ শতাংশ শ্বাসও নিতে পারছেন। বাড়ি ছেড়ে হাসপাতালে রয়েছেন চার মাস। তবে এবার তিনি দ্রুত বাড়ি ফিরতে চান।

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন