ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা রুল

আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বরিশালের ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস অবৈধভাবে এন্টিবায়োটিক উৎপাদন ও বিক্রি উৎপাদন করার অভিযোগ উঠলেও ঔষধ প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক, ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক এবং ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। মানবাধিকার সংগঠন উিম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত। আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

এইচআরপিবির আবেদনে হাইকোর্ট ২০১৬ সালে জিএমপি অনুসরন না করে বরিশালের ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস-সহ ২০টি মেডিসিন কম্পানির এন্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেন। এই নির্দেশে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট ইন্দো-বাংলাসহ ২০টি প্রতিষ্ঠানের এন্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। পরবর্তিতে ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে জিএমপি অনুসরনের সক্ষমতা অর্জন করলেই কেবল এন্টিবায়োটিক উৎপাদনের অনুমতি দিতে বলা হয়। রায়ে ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নিয়মিত মনিটরিং করতে ঔষধ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস অবৈধভাবে এন্টিবায়োটিক উৎপাদন ও বিক্রি করার অভিযোগে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত যুক্ত করে এইচআরপিবি’র পক্ষে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। আদালত শুনানি শেষে রুল জারি করেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ