সোমবার , ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ | ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিয়ে মরিয়া শামীম ওসমান

Paris
ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬ ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজচ ডেস্ক :

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে নিজের সমর্থনপুষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের জয় নিশ্চিত করতে মরিয়া স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। এর জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সহায়তাও চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি কাউন্সিলরদের জেতানোর দায়িত্ব তার হাতে ছেড়ে দেওয়া হোক, এমন আগ্রহও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে প্রকাশ করেছেন শামীম। সেই প্রস্তাব নাকচ করেছে কেন্দ্র। আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী সূত্রগুলো কাউন্সিলরদের নিয়ে শামীম ওসমানের মরিয়া হয়ে ওঠার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিয়ে কোনও আগ্রহ কেন্দ্রের নেই। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তের কথা শামীম ওসমানকে এরই মধ্যে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, নাসিক নির্বাচনে নাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে একান্ত নিজের লোক না পেলেও স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ২৭টি ওয়ার্ড ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডেই তার অনুসারীদের কাউন্সিলর প্রার্থী হিসাব দাঁড় করিয়েছেন। তাই তার সমর্থনপুষ্ট কাউন্সিলরদের বিজয়ী করার দায়িত্ব যেন তার হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়, এ প্রস্তাব কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে করেছেন তিনি। তবে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার স্বার্থে তার এ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

তবে কাউন্সিলর প্রার্থীরা যেহেতু নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে না তাই নাসিক নির্বাচনে কাউন্সিলরদের নিয়ে একেবারেই ভাবছে না আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে ওসমানকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নাসিক নির্বাচনে নৌকা নিয়ে লড়াই করছেন মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তাই আইভীকে জেতানোই কেন্দ্রের একমাত্র লক্ষ্য। এর বাইরে সবগুলো ওয়ার্ডে যদি বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিরলররা জিতেও যান, তাতেও আপত্তি নেই দলটির।

আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী সূত্রগুলো বলছে, শামীম ওসমানকে কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, কাউন্সিলর নির্বাচন করতে তারা নারায়ণগঞ্জ যাননি। তারা নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নারায়ণগঞ্জে কাজ করছেন। তাই কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে কারও ‘সিরিয়াস’ হয়ে ওঠার সুযোগ নেই। নৌকার প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জয়ী করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাসিক নির্বাচনের অন্যতম সমন্বয়ক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শামীম ওসমান তার কিছু অনুসারীকে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী করেছেন। তিনি তার মনোনীত কাউন্সিলরদের বিজয়ী করতে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমরা শামীম ওসমানকে জানিয়ে দিয়েছি, কাউন্সিলর নিয়ে কেন্দ্র কোনও চিন্তা করছে না।’

জাফরউল্যাহ আরও বলেন, ‘দেখা গেছে, প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী আছেন। মাত্র ৩/৪টি ওয়ার্ডে একক প্রার্থী আছেন যারা আওয়ামী লীগ করেন। ফলে কাউন্সিলর নিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়।’ তিনি বলেন, ‘তাছাড়া নৌকার প্রার্থী নিয়ে আওয়ামী লীগ কাজ করছে। কাউন্সিলরা নৌকা নিয়ে নির্বাচন করছে না। তাই কাউন্সিলর জিতল কি হারল, তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শামীম ওসমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ বিষয়ে পরে কথা বলব।’ এরপর তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি আর কল রিসিভ করেননি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর তিন জন নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে কেন্দ্রের যেসব নেতা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের দুই দিন আগে শামীম ওসমান কাউন্সিলরদের জেতানোর বিষয়ে তার আগ্রহের কথা বলেছেন। এক পর্যায়ে এ দায়িত্ব তার উপর ছেড়ে দেওয়া হোক, এ প্রস্তাবও করেন তিনি। শামীমের এই প্রস্তাব দায়িত্বশীল নেতারা দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে অবহিত করলে বিরক্তি প্রকাশ করে তা নাকচ করে দেন প্রধানমন্ত্রী।

নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছেন এমন এক নেতা জানিয়েছেন, কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিজয়ী করতে শামীম ওসমানের প্রস্তাবকে সন্দেহের চোখেও দেখেন প্রধানমন্ত্রী। কাউন্সিলর জেতানোর পরিকল্পনা থাকা মানেই নির্বাচনে গোলোযোগ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা। শীর্ষ পর্যায় থেকে শামীম ওসমানকে তাই মেসেজ দেওয়া হয়েছে, নির্বাচন নৌকার। আর নৌকার প্রার্থী আইভী। এটাই যেন শেষ পর্যন্ত মনে রাখা হয়।

একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আইভী। আইভী নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কাউন্সিলররা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন না। ফলে নৌকার জয়ের জন্য কাজ করতে হবে, কাউন্সিলরদের জয়ের জন্য কাজ করার প্রয়োজন নেই।

সূত্র আরও জানায়, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেছেন, কাউকে জেতানোর দায়িত্ব কারও নিতে হবে না। জনগণ যাকে বেছে নেবে সে বিজয়ী হবে।

সূত্র : বাংলাট্রিবিউন

সর্বশেষ - জাতীয়