ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট ‘বিএ.৪-৫’ কতটা ভয়ংকর?

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বেড়ে গেছে দেশে। এবার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপ-ধরন শনাক্ত হয়েছে।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক বিএ.৪-৫ নামক নতুন এ সাব-ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত করেছেন।

মঙ্গলবার (২১ জুন) যবিপ্রবির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) আবদুর রশিদ জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশি দুজনের শরীরে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও এরই মধ্যে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও ওমিক্রনের নতুন সাবভেরিয়েন্ট বিএ.৪ ও বিএ.৫ এর তীব্রতা নিয়ে এখন পর্যন্ত সীমিত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

তবে বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ আফ্রিকার রিপোর্টের ভিত্তিতে আশাবাদী, যেখানে বিএ.১ এর তুলনায় বিএ.৪-৫ এ আক্রান্ত কম সংখ্যক রোগীই হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু হয়েছে।

তবে এটা স্পষ্ট যে ওমিক্রনের বিএ৪-৫ ও বিএ.২.১২.১ সাব ভ্যারিয়েন্ট অতীত সংস্করণের তুলনায় আরও বেশি সংক্রামক ও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। সিডিসি ধারণা করছে, বিএ৪-৫ চলতি বছরের মে মাসের প্রথম থেকে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

নতুন এই সাব ভ্যারিয়েন্ট কতটা ভয়ঙ্কর?

বিএ.৪ ও বিএ.৫ ভেরিয়েন্ট রোগীর জন্য তেমন গুরুতর না হলেও, তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখে। করোনার ওমিক্রণের এই সাব ভ্যারিয়েন্ট ফুসফুসে স্থায়ী হয়। ওমিক্রনের অন্যান্য রূপগুলোর মতোই নতুন সাব ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গগুলো সাধারণত হালকা হয়।

যার মধ্যে জ্বর, অস্বস্তি, শ্বাসকষ্ট, গন্ধ হ্রাস অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। যদিও দীর্ঘমেয়াদী উপসর্গের (লং কোভিড) প্রাদুর্ভাব এখনও মূল্যায়ন করা হচ্ছে। গুরুতর অসুস্থতা বিরল কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে তা মারাত্মক হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা করোনা টিকার সবগুলো ডোজ সম্পন্ন করেননি তারা বিএ৪-৫ এ আক্রান্ত হলো গুরুতর উপসর্গে ভুগতে পারেন।

তাই সবাইকে করোনার টিকা ও বুস্টার ডোজ গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি মাস্ক, স্যানিটাইজার, বারবার হাত ধোওয়াসহ ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখতে হবে।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ