এমসি কলেজে গণধর্ষণে জড়িতদের গ্রেফতার দাবি গণফোরামের

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া।

 

শনিবার ওই সংগঠনের নেতারা এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

তারা বলেন, করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে কলেজ বন্ধ থাকার পরেও ছাত্রাবাস কীভাবে খোলা রাখা হলো এবং সিলেট এমসি কলেজের মত একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে কীভারে ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটলো। গণফোরাম সিলেটের গণধর্ষণের ঘটনাসহ দেশব্যাপী সব নারী নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছে।

গতাল শুক্রবার রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ছাত্রলীগের ৬ জন নেতাকর্মী ধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই দম্পতিকে ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ সুরমার নবদম্পতি শুক্রবার বিকালে প্রাইভেটকারে করে এমসি কলেজে বেড়াতে যান। বিকালে এমসি কলেজের ছাত্রলীগের ৬ জন নেতাকর্মী স্বামী-স্ত্রীকে ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে প্রথমে মারধর করেন।

পরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেন। ছাত্রলীগ নেতাদের প্রত্যেকেই ছাত্রাবাসে থাকেন।

গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতার স্বামী। শনিবার সকালে ৬ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করে নগরের শাহপরান থানায় এ মামলা করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫), সাইফুর রহমান (২৮), রবিউল ইসলাম (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫) ও তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮) ।

এদের মধ্যে অর্জুন ও তারেক (২৮) বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা গেছে।

আসামিদের মধ্যে সাইফুরের বাড়ি বালাগঞ্জে, রবিউলের দিরাইয়ে, মাছুমের কানাইঘাটে, অর্জুনের জকিগঞ্জে, রনির হবিগঞ্জে এবং তারেকের বাড়ি সুনামগঞ্জে।