‘এমপি সাহেবের ভালো হবে এই চিন্তা করে বাচ্চা নষ্ট করি’-লিজা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর এক এমপির দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া ওই নারী এবার আরও বড় ধরনের অভিযোগ তুলেছেন ফেসবুকে। তিনি রবিবার সকালে তার ফেসবুকে একটি পোস্ট করে সেই অভিযোগ তুলে ধরেন। তাতে তিনি এমপির প্রলোভনে নিজের গর্ভের সন্তান নষ্ট করার অভিযোগ তুলেন।

সিল্কসিটিনিউজের পাঠকদের জন্য সেই নারীর পোস্টটি তুলে ধরা হলো। যদিও ওই এমপি স্বীকার করেছেন লিজা আক্তার আয়েশার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিলো। তবে সম্প্রতি ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। দেনমোহরের টাকাও পরিশোধ করেছেন এরই মধ্যে তিনি তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে। কিন্তু তারপরেও একটি কুচক্রি মোহল এমপি’র বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র করছে।

আরও পড়ুন: রাজশাহীর এক এমপির সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ের দাবি নারীর

এমপি সাহেবের সাথে আমার পরিচয় হয় ২০১২ সালে। উনি প্রথম আমাকে ভালোবাসি বলেছিলেন। আমিও উনার কথাই মুগ্ধ হয়ে উনার প্রেমে পড়ে ছিলাম।

৩০/০৪/১৩ সালে পারিবারিকভাবেই আমাদের বিয়ে হয় উনার নিজ বাসভবনে। কিন্তু বিয়ের সময় উনি বলেছিলেন, এখন আমাদের বিয়েটা রেজেস্ট্রি করা যাবে না। কারণ, তাঁর নমিনেশন পাইতে সমস্যা হতে পারে। আমার বিয়ের ভিডিও এবং ছবি আমার কাছে আছে। কিন্তু রেজেস্ট্রি তখন করা হয়েছিলো না। আমি উনার কথা বিশ্বাস করে উনার কথা মেনে নিয়ে এতো বছর সংসার করেছি।

বিয়ের দুই বছর পর ২০১৫ সালে আমি বেবী কনসিভ করি। উনি আমাকে বলে নির্বাচনের আগে উনি বাচ্চা নিতে পারবেন না। নির্বাচনের পর নিবেন। আমি সেইটাও মেনে নিয়ে এমপি সাহেবের ভালো হবে এই চিন্তা করে বাচ্চা নষ্ট করি।

তারপর এমপি সাহেব আমাকে বললেন, তাঁর নমিনেশন পাইতে আর কোন সমস্যা হবে না। আমরা এখন আমাদের বিয়ে রেজেস্ট্রি করতে পারবো। তখন ১১.০৫.২০১৮ সালে আমারা পুনরায় বিয়ে করে আমাদের বিয়ে রেজেস্ট্রি করি। সেই কাগজ আমি আপনাদের দিয়েছি।

আমার জীবনের আট বছর ২০১২ থেকে ২০২০ আমি এমপি সাহেবের সাথে কাটিয়েছি তাঁর সাথে সংসার করেছি। এমপি সাহেব আমাকে বলেছিলেন নির্বাচনের পর উনি আমাকে স্বীকৃতি দিবেন, বাচ্চা দিবেন। আমি সেই অপেক্ষায় এতোগুলো বছর নীরব ছিলাম। এখন আমি সুবিচারের আশায় নিজেকে জনগণের সামনে প্রকাশ করেছি।

স/আর