রাজশাহীর এক এমপির সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ের দাবি নারীর, ফেসবুকে ছবি নিয়ে তোলপাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর এক এমপির সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছে বলে দাবি করেছেন এক নারী। নগরীর তেরোখাদিয়া এলাকার আয়েশা আক্তার নামের ওই নারী ফেসবুকে সেই এমপির সঙ্গে তার একাধিক অনরঙ্গ ছবিও পোস্ট করেছেন।  একাধিক ছবি নিয়ে তোলপাড় চলছে সামাজিক গণমাধ্যমে।

আজ শনিবার লিজা আক্তার আয়েশা নামের ওই নারী ফেসবুকে লিখেন, ‘একজন সংসদ সদস্য অনেক বড় অবস্থানের মানুষ। তাঁর বিরুদ্ধে চাইলেই কেউ মিথ্যা অপবাদ দিতে পারে না। আমার কথাগুলো যদি মিথ্যা হইতো তাহলে এতক্ষণে পুলিশ আমাকে থানায় নিয়ে যেতো। আমি যা কিছু বলছি এবং বলবো সব সত্যি। আপনারা আমাকে বিরক্ত না করে ধৈর্য্য ধরে পাশে থাকুন।

দুই ঘন্টা আগে ওই নারী আরেকটি পোস্টে লিখেন, ‘এমপি সাহেবের রক্ষিতা বা প্রেমিকা নই দ্বিতীয় বউ আমি।’  আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেন, ‘এমপি সাহেব আমার husband এই কথাটা যদি কারো কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয় তাঁরা বিয়ের কাগজ দেখতে পারেন।’

তার পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতেই লিজা আক্তার আয়েশার বিয়ে হয় বলে দাবি করে তিনি সিল্কসিটিনিউজকে বলেন, ‘২০১৮ সালের ১১ মে আমাদের বিয়ে হয়। প্রথমে আট বছর আগে আমাদের বিয়ে হয় মৌখিকভাবে। তার বাগমারার বাড়িতে। কিন্তু লিখিত বিয়ের পর গত দুই বছর ধরে তিনি আমাকে গোপনে স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে আসছেন। এখন তিনি একটি ভুয়া কাগজ করে আমাকে তালাক দিয়েছেন। সেখানে আমার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। এ কারণে আমি পরিস্থিতির শিকার হয়ে আমি ফেসবুকে এসব কথা বলেছি। আমি আমার সংসার করতে চাই আমার স্বামীর সঙ্গে।’

এদিকে রাজশাহীর ওই এমপির সঙ্গে লিজা আক্তার আয়েশার বিয়ের কিছু প্রমাণ হিসেবে সিল্কসিটিনিউজকে বিয়ের কাবিননামাও সরবরাহ করেন তিনি।এসময় তিনি দাবি করেন, আমার স্বামী ভুয়া কাগজ করে আমাদের তালাক হয়েছে বলে দাবি করছেন। আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করতে চাই। এ কারণে নগরীর রাজপাড়া থানায় আমি মামলা করতে গেছিলাম শুক্রবার। কিন্তু থানা পুলিশ আমার মামলা নেয়নি। তবে আমি আমার স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চাই। তাকে না পেলে আমি আইনের আশ্রয় নিব।’

প্রসঙ্গত, আইনগত জটিলতার কারণে ওই সংসদ সদস্যের নাম দেওয়া গেলো না।

তবে ওই সংসদ সদস্যকে ফোন করা হলে তিনি সিল্কসিটিনিউজকে বলেন, আমার একসময়ে বিয়ের সম্পর্ক ছিল ওই নারীর সঙ্গে। এখন নাই। কিন্তু সে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছে। আমিও আইনের আশ্রয় নিব।’

 

স/আর