এবার মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ওমর ফারুক আসিফ। তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন মেহেদী হাছান মেরিন। তিনি ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে গাজীপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০০ কোটি টাকার একটি মানহানির মামলা করা হয়। গাজীপুর মহানগরের নলজানি এলাকার বাসিন্দা মো. আতিক মাহমুদ (চেয়ারম্যান, আন্তর্জাতিক ভাষা আন্দোলন পরিষদ) বাদী হয়ে ওই মামলা (সিআর নং ১২১০/২০২১) করেন।

এর আগে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মাদারীপুর আদালতে মামলা করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে মাদারীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার বাদী হয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই মামলা করেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. সিদ্দিকুর রহমান।

আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবির সরকার মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

ওই ঘটনায় গাজীপুরের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ নিয়ে গাজীপুরে মেয়র-সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ৩ অক্টোবর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জাহাঙ্গীর আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ১৮ অক্টোবরের মধ্যে জাহাঙ্গীরকে এর জবাব দিতে বলা হয়। তিনি যথা সময়ে জবাব দেন এবং নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

গত ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট