এক সময়ের রক্তাক্ত জনপদ রাণীনগর-আত্রাইয়ে শান্তি ফিরিয়েছে আ.লীগ : সাংসদ হেলাল

রাণীনগর প্রতিনিধি:
নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেছেন, এক সময় রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা রক্তাক্ত জনপদ হিসাবে পরিচিত ছিল। সেই রক্তাক্ত জনপদে শান্তি ফিরিয়ে এসেছেন আওয়ামী লীগ। জননেত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই আজ রক্তাক্ত জনপদ হিসাবে পরিচিত রাণীনগর-আত্রাইয়ে শান্তির সুবাতাস বইছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার একডালা ইউনিয়ন পরিষদ আয়োজিত আবাদপুকুর কলেজ মাঠে উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে এই অঞ্চলের অনেক আওয়ামীলীগ সমর্থিত মানুষকে দিনে-দুপুরে জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী বাহিনী সর্বহারা ও জেএমবির সদস্যরা। এক সময় সন্ধ্যার পর এই অঞ্চলের মানুষরা ভয়ে বাড়ির বাহিরে বের হতে পারেনি। কিন্তু আজ বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে দিন-রাত উন্মুক্ত পরিবেশে সবাই বসবাস করতে পারছেন।

সাংসদ হেলাল বলেন, ঘর থেকে বের হলেই ইটপাড়া ও পাঁকা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছেন এলাকার মানুষ। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নই নয়- অসহায়, গরীব, ছিন্নমূল, দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষসহ সবাই শ্রেণিভেদে শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন সহযোগিতা পাচ্ছেন। উন্নয়নের এই চলমান ধারা থেকে শুধু এই অঞ্চলই নয় পুরো বাংলার প্রতিটি আনাচে-কানাচের সকল শ্রেণিপেশার মানুষ শেখ হাসিনার উন্নয়নের উপহার পাওয়া থেকে কেউই বঞ্চিত হননি। তাই আগামী নির্বাচনে আবারো উন্নয়নের প্রতিক নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে তার হাতকে শক্তিশালী করার কোন বিকল্প নেই।

একডালা ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো: শাহজাহান আলীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল খালেকের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলম কচি।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল বারী মোল্লা, সহ-সভাপতি ফরিদা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক জারজিস হাসান মিঠু, সদস্য রাহিদ সরদার, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, একডালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ফটিক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ আকন্দসহ অনেকেই।

এছাড়া সভায় উপকারভোগী, উপজেলা এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রায় পাঁচ হাজার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।