এক লাখ ২০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

বিভিন্ন ধরনের এক লাখ ২০ হাজার টন সার কিনবে সরকার। এগুলোসহ সাতটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৭৫১ কোটি ৭৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় প্রস্তাবগুলোতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে চতুর্থ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০%+) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। কাতারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি মেট্রিক টন ৪৫১.৬৭ ডলার। সে হিসাবে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০%+) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে মোট ব্যয় হবে এক কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার ১০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৫ কোটি ৫৮ লাখ ২৩ হাজার ৫৩০ টাকা।

সভায় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে পঞ্চম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৪৬৬ ডলার। সে হিসাবে মোট এক কোটি ৩৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার ব্যয় হবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৯ কোটি ১৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।

মুস্তফা কামাল বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে পঞ্চম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০%+) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৪৫১.৬৭ ডলার। সে হিসাবে মোট এক কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার ১০০ ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ১১৫ কোটি ৫৮ লাখ ২৩ হাজার ৫৩০ টাকা।

তিনি বলেন, অক্টোবর মাসের জন্য ৪০ হাজার মেট্রিক টন (১০%+) ফার্নেস অয়েল (এইচএফও) আমদানির একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে দুই কোটি চার লাখ ৩৪ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।

সভায় ২০২১-২২ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০%+) বাল্ক প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। সৌদি আরবের সাবিক এগুলো সরবরাহ করবে। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৪৪৬.৬৭ ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে এক কোটি ৩৪ লাাখ ১০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৪ কোটি ৩০ লাখ ২৮ হাজার ৫৩০ টাকা।

সভায় কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণকাজের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কোরিয়াভিত্তিক যৌথ কম্পানি উজো ও সানজিন কাজটি পেয়েছে। এ জন্য ব্যয় হবে ৫৯ কোটি ৩৬ লাখ ৯৬ হাজার ৫৩৯ টাকা।

এর আগে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় রাশিয়া থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে এক লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ