সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং কৃষ্ণ সাগরে মোতায়েন থাকা রুশ নৌবহর রোববার ভোরে ক্রিমিয়ান বন্দরনগরী সেভাস্তোপলের ওপর আটটি ইউক্রেনীয় ড্রোনকে বাধা দিয়েছে এবং ভূপাতিত করেছে বলে মস্কো-নিযুক্ত একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে সেভাস্তোপলের মস্কো-নিযুক্ত গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ বলেছেন, ‘ড্রান ভূপাতিতের ঘটনায় সেভাস্তোপল শহরে বা সামুদ্রিক এলাকায় কোনো অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।’
তিনি বলেন, একটি ড্রোন সমুদ্রের ওপর দিয়ে গুলি করে নামানো হয়। আর পাঁচটি ড্রোন রাশিয়ার ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার বাহিনী আটকে দেয় এবং অন্য দু’টি ড্রোন উপকূলীয় তীরের বাইরের ধ্বংস করা হয়।
এর আগে রাজভোজায়েভ বলেছিলেন, সেভাস্তোপলের বন্দর এবং শহরের বালাক্লাভা ও খেরসোনেস এলাকায় এসব আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
অবশ্য ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে হামলার বিষয়ে ইউক্রেনের তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
মূলত ইউক্রেন প্রায় কখনোই প্রকাশ্যে রাশিয়ার অভ্যন্তরে বা ইউক্রেনের রুশ-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে হামলার দায় স্বীকার করে না। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটি বলে আসছে, রাশিয়ার সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস হওয়া কিয়েভের পাল্টা আক্রমণকে সহায়তা করে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সামরিক অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দ্বীপের দখল নেয় রাশিয়া। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ মস্কোর এই দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয়নি।
এছাড়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অন্যদিকে রাশিয়া বলেছে, রুশ বাহিনী কৃষ্ণসাগরের এই উপদ্বীপটি দখল করার পর সেখানে গণভোট অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানেই দেখা গেছে, ক্রিমিয়ানরা সত্যিকার অর্থেই রাশিয়ার অংশ হতে চায়। যদিও সেই গণভোটকে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ স্বীকৃতি দেয়নি।