একসঙ্গে ২০ নারীর সঙ্গে প্রেম! অশ্লীল ছবি ও ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেইল

বগুড়ায় একসঙ্গে ২০ নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছবি ও ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে তাদের কাছ থেকে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নিতেন কলেজছাত্র তানজিমুল ইসলাম রিয়ন (২২)। অবশেষে সাইবার পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌধুরি পাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

শুক্রবার দুপুরে বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত তানজিমুল ইসলাম রিয়ন রিয়ন নওগাঁ জেলা সদরের চকদেবপাড়া গ্রামের মৃত তাজুল ইসলাম কবিরাজের ছেলে। তিনি দুঁপচাচিয়া থানার চৌধুরীপাড়ায় তার নানা আবু সাঈদ ফকিরের বাড়িতে বসবাস করতেন। রিয়ন দুঁপচাচিয়া উপজেলা সদরের জেকে কলেজে বিএসএস প্রথম বর্ষের ছাত্র। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও দুইটি সিমকার্ড জব্দ করে পুলিশ।

মাত্র ২২ বছর বয়সে মোবাইল ফোনে একসঙ্গে ২০টির অধিক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করতেন প্রতারক রিয়ন। সেই সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে মেয়েদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে গিয়ে অশ্লীল ছবি ধারণ করে রাখতেন। পরে তাদের ম্যাসেঞ্জারে ওই সব অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নিতেন। অবশেষে বগুড়া শহরের এক স্কুলছাত্রীর করা অভিযোগে সাইবার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত রিয়ন বগুড়া শহরের এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর ভিডিও কল করে ওই স্কুলছাত্রীর বিভিন্ন অশ্লীল ছবি ধারণ করে রাখেন। পরে তার ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেন। এ ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া সদর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ওই রাতেই বগুড়া সাইবার পুলিশের পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিনের নের্তৃত্বে একটি দল দুপচাঁচিয়া থানার চৌধুরি পাড়া থেকে তানজিমুল ইসলাম রিয়নকে গ্রেপ্তার করেন।

পুলিশ পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং তার জব্দকৃত ডিভাইস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, রিয়নের সঙ্গে একাধিক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক আছে। এর মধ্যে ২০ জনের বেশি মেয়ের শরীরের বিভিন্ন অংশের অশ্লীল স্থিরচিত্র এবং অশ্লীল ভিডিও চিত্র তার ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জারে সংরক্ষিত রয়েছে। মেয়েদের সঙ্গে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও কলে কথা বলার সময় স্ক্রিন রেকর্ডের মাধ্যমে ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করে পরবর্তী সময়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়।

জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, তার বিরুদ্ধে সদর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিকেলে আদালতে প্রেরণ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ