একটা ফোনকল! তাতেই এক ছাত্রীর নির্মম সত্য ঘটনা প্রকাশ্যে!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: একটি ফোনকল! আর তাতেই পুলিশ জানতে পারে, পানিহাটির পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে আত্মঘাতী হয়েছে এক কিশোরী। কিন্তু তারপর থেকেই ওই ফোনটি ‘সুইচড অফ’। এখন সেই ফোনের মালিকের সন্ধান করছে পুলিশ।

সদ্য উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরনো ওই ছাত্রী সিটি কলেজে ভর্তির টাকা জোগাড় করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি তাঁর পরিবারের। যদিও বিষয়টি নিয়ে পরিবারের তরফে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

গত শনিবার তার মৃত্যু হয়। তার পরেই ওই রাতে খড়দহ থানার পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। পুরুষকণ্ঠে জানানো হয়, পানিহাটির পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে এক কিশোরী আত্মঘাতী হয়েছে। এমনকী, কীভাবে আত্মঘাতী হয়েছে ওই কিশোরী, তার বর্ণনাও পুলিশকে ওই ব্যক্তি দেন। কিন্তু তারপর থেকেই ফোনটি বন্ধ।

খবর পেয়ে আত্মঘাতী কিশোরীর বাড়িতে যায় পুলিশ। যদিও পরিবারের তরফে পুলিশকে জানানো হয় যে, ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ হয়েছে। তাই ময়নাতদন্তের কোনও প্রয়োজন নেই। পরিবারের সদস্যরা একথা বলার পরেই ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় খড়দহ থানার পুলিশ। বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত ফোনটি আর ‘অন’ পাওয়া যায়নি বলে সূত্রের খবর। তবে এক পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, অভিযোগ দায়ের না হলে কিছুই করার নেই।

এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে আমহার্স্ট স্ট্রিট সিটি কলেজের। কারণ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) পরিচালিত ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন আত্মঘাতী কিশোরীর মা। আর সেই কারণে ঘটনার সঙ্গে ‘দূরত্ব’ তৈরি করেছে টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদ। এদিন কলেজে একটি ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে, আত্মঘাতী কিশোরীর মৃত্যুর তদন্ত দাবি করে। পাশাপাশি, এক ছাত্রকে গ্রেফতারের দাবিও করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক অর্কনীল দাসের বক্তব্য, ‘‘আমাদের কলেজের বদনাম হচ্ছে। অভিযুক্ত হিসাবে সংবাদমাধ্যমে যার নাম এসেছে, তাকে গ্রেফতারের দাবি করা হয়েছে। আমরা চাই, প্রশাসন তদন্ত করুক।’’ প্রসঙ্গত, পানিহাটির বাসিন্দা তথা সিটি কলেজের ওই ছাত্র এখন
বাড়িতে নেই।