এইচএসসির রেজাল্ট শোনার পর তিন মাস পাগল ছিলেন চঞ্চল চৌধুরী!

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

বৃহস্পতিবার চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। অনেকেই কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সাহস দিচ্ছেন।

জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম  ফেসবুকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি যারা খারাপ রেজাল্ট করেছেন তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে সাহস জুগিয়েছেন। পোস্টে নিজের শিক্ষাজীবনের স্মৃতিচারণও করেছেন তিনি।

পাঠকদের জন্য চঞ্চল চৌধুরীর সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘আজ যারা জিপিএ ফাইভ পায়নি, আমার ধারণা পড়ালেখার পাশাপাশি তারা অন্য কিছু করতো। যেমন- খেলাধুলা, গান বাজনা, ছবি আঁকা…নানান কিছু। সমস্যা নাই এগুলো করেও অনেক খ্যাতি অর্জন করা যায়, প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়। কিন্তু কেউ যদি মোবাইল ফোনের নেশায় বা অনলাইনে শুধু গেইম খেলে, ফেবু (ফেসবুক) করে সময় নষ্ট করে রেজাল্ট খারাপ করে থাকে, তার ভবিষ্যত কিন্তু সুবিধার না।

যেমন আমি আমার ইন্টারের রেজাল্ট শোনার পর তিন মাস পাগল আছিলাম। সমস্যা নাই আবার ঠিক হয়ে গেছি। আর যারা বইয়ের পোঁকা ছিলা, শুধু পড়ালেখা করছ, তারাই তো সোনার জিপিএ পাইছ। সোনার জিপিএ পাওয়া সোনামনিদেরকে জানাই প্রানঢালা অভিনন্দন ও আশীর্বাদ।

তবে তোমরা শুধু ভালো রেজাল্ট করে থেমে যেও না। দেশটাকে ভালোবাইসো, দেশের জন্য কিছু কইরো। মনে রাইখো, এর আগে ভালো ভালো রেজাল্ট কইরা হাজার হাজার সোনামনিরা বিদেশ গেছেগা, অনেকেই আর দেশে ফেরে নাই। ওইসব সোনা মনি দিয়া দেশের তেমন কোন মঙ্গল হয় না।

খারাপ রেজাল্ট কইরা যারা হতাশ হয়ে গেছো, তাদের জন্য আমি আছি। উইল হেল্প ইউ গাইস। আমি তোমাদের দলে ছিলাম। এখন কিন্তু ভালোই করতেছি। সাহস হারাইও না সোনা বঞ্চিত খোকা খুকুরা। দেশকে ভালোবেসে, পরিবারকে ভালোবেসে যা করবা, তাই ঠিক। মনে রাখবা, ভালো ছাত্র হওয়ার চেয়ে ভালো মানুষ হওয়া জরুরী। আমি পাগল সবাইরেই সাহস দেই। লাভ ইউ অল গাইস।’

সূত্র:যুগান্তর