উল্লাপাড়ায় ২১ অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার কালিয়াকৈড় ও মোহনপুর গ্রামে শিশু ও নারীসহ ২১ জন অ্যানথ্রাক্স রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। অসুস্থ গরুর মাংস কাটাছেঁড়া করতে গিয়ে তারা অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হন। মঙ্গলবার ও বুধবার উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি চিকিৎসক দল রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন।

আক্রান্ত রোগীরা হলেন- মোহনপুর গ্রামের রোকেয়া বেগম (৪৫), কামরুল ইসলাম (১৪), কালিয়াকৈড় গ্রামের শাহ আলম (৪০), আকরাম হোসেন (৩০), সেরাজুল ইসলাম আরিফ (৩৫), মাসুদ রানা (২৭), আব্দুস সামাদ (৫০), লিমা খাতুন (৩), ফাতিমা বেগম (৭০), রাশিদা খাতুন (৩১), আব্দুল হান্নান (৪০), জাহানারা খাতুন (৩০), বাদশা মিয়া (১৪), সেতু (১০), সিয়াম (১০), আমানত আলী (৪০), বুলবুলি খাতুন (২৫), লিপি খাতুন (৩০), রাবেয়া (৫), হাবিব (৩) ও আব্দুল মান্নান (৫০)।

স্থানীয়রা জানান, গত ২৫ মে উল্লাপাড়ার মোহনপুর গ্রামের রোকেয়া বেগম (৪৫) ও কামরুল ইসলাম (১৪) এ রোগে আক্রান্ত হন। উল্লাপাড়ার পার্শ্ববর্তী পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলায় অসুস্থ গরুর মাংস কাটাছেঁড়া করতে গিয়ে তারা প্রথম অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হন।

পরে ২৯ মে উল্লাপাড়ার কালিয়াকৈড় গ্রামের সেরাজুল ইসলাম আরিফ তার একটি অসুস্থ ষাঁড় গরু জবাই করে অল্পদামে গ্রামবাসীর মধ্যে বিক্রি করে। ওই গরু জবাই এবং মাংস কাটাছাটা ও বন্টন করতে গিয়ে ২১ জনই পর্যায়ক্রমে অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হন। আক্রান্তদের শরীরে লালচে ফোস্কা ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে জ্বর ও ব্যথা।

উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাফরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার ও বুধবার মোহনপুর ও কালিয়াকৈড় গ্রামে মোট ২১ ব্যক্তিকে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন খান জানান, অসুস্থ গরুর মালিক কালিয়াকৈড়ের সেরাজুল ইসলামকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গনসচেতনতা সৃষ্টিতে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন