ঈদেও শখের পল্লীতে নীরবতা, ৩মাসে ৮লাখ টাকা ক্ষতি

আদমদীঘি প্রতিনিধি :
করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে ব্যক্তিগত ভাবে নির্মিত বিনোদন কেন্দ্র ‘শখের পল্লী’। আয় না থাকায় গত ৩মাসে সাড়ে ৭লাখ টাকা ভূর্তুকি গুনতে হয়েছে কর্তৃপক্ষের। করোনার ঝুঁকি এড়াতে কর্তৃপক্ষের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কর্মহীন হয়ে পড়া ৩০জন কর্মচারীদের দেয়া হয়েছে আর্থিক সহায়তা। তা দিয়েই তারা কোনো ভাবে জীবনযাপন করছেন।

ফলে কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি কর্মচারীরাও পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। সবাই এখন চেয়ে আছে কবে খোলা হবে জনপ্রিয় এ বিনোদন কেন্দ্রটি।

জানাগেছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারের দেয়া নির্দেশনা মেনে গত ১৮মার্চ থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে সান্তাহারের বিনোদন কেন্দ্র শখের পল্লী। ফলে বিভিন্ন জীব-জন্তু আর বিনোদনের নানা রাইডস্গুলো পড়ে আছে। নেই কোনো কোলাহল, অনেকটাই জনমানব শূন্য। মিনি চিড়িয়াখানার বানর, খরগোশ, পাঁখিসহ অন্যসব জীব-জন্তদের খাবার দেয়া এবং আগাছা পরিষ্কার করার লোক ছাড়া বিনোদন কেন্দ্রে কারো দেখা মিলছেনা। অথচ প্রতি ঈদে উপচে পড়া ভিড় থাকতো এ বিনোদন কেন্দ্রটিতে। বগুড়া, নওগাঁ , নাটোর, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রেন-বাস অথবা অন্যসব যানবাহন যোগে শখের পল্লীতে আসতো বিনোদন পিপাসুরা। সবসময় তাদের পদচারনায় মূখর থাকতো পল্লীটি। কিন্তু করোনার কড়াল থাবায় এবারের ঈদে বিনোদন কেন্দ্রে যেন শুণশান নীরবতা। এ যেন এক ভিন্ন চিত্র, এক যেন ভিন্ন অভিজ্ঞতা।

শখের পল্লী’র সত্বাধিকারী ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সালে শুরুর দিকে প্রায় ৪৫ বিঘা জমির উপর আনুষ্ঠানিকভাবে পার্কটি চালু করা হয়। শখের বসে নির্মিত এ পার্ক থেকে বাণিজ্যিক ভাবে মুনাফা অর্জন করা আমার লক্ষ্য নয়। এলাকার বেকারত্ব ঘোচাতে ও বিনোদন প্রেমিদের চাহিদা মেটানোয় আমার মূল লক্ষ্য।

আর একারনে বার বার ক্ষতির সম্মূখিন হয়েও কখনো পিছপা হইনি। বর্তমানে প্রাণঘাতি করোনার কারণে প্রতিমাসে আড়াই লক্ষাধীক টাকা ক্ষতি গুনতে হচ্ছে। তবুও প্রায় ত্রিশজন কর্মচারীকে ব্যক্তিগতভাবে সহযোগীতা করে যাচ্ছি এবং যতোদিন বন্ধ থাকবে ততোদিন পর্যন্ত তাদের সহযোগীতা করবো। এছাড়া সরকারি ভাবে পরবর্তী ঘোষণা না পাওয়া পর্যন্ত পার্কটি খোলা হবেনা বলেও জানিয়েছেন তিনি।