রবিবার , ১০ এপ্রিল ২০২২ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ইসলামে জুয়া হারাম

Paris
এপ্রিল ১০, ২০২২ ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

ইসলাম আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত জীবনব্যবস্থা। ইসলাম সর্বজনীন ও সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম। সমস্যা-পর্যুদস্ত অশান্ত পৃথিবীর সব অন্ধকার দূর করে পৃথিবীকে এক শান্তির সুনিবিড় মায়াকাননে পরিণত করতে পারে একমাত্র ইসলাম। ইসলাম অহেতুক অপ্রয়োজনীয় অবান্তর এবং অকল্যাণমূলক সব জিনিস হারাম করেছে। এমন একটি জিনিস হলো জুয়া। যার অন্ধকার ক্রমান্বয়ে প্রগাঢ় হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে মুসলিম সমাজ ও সভ্যতা। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ক্যাসিনোর মতো অনৈতিক জুয়ার আসর।

জুয়া ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। কারণ জুয়ার মাধ্যমে মানুষ অতীব লোভ আর বেপরোয়া ধনলিপ্সায় মত্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় নামে। ফলে জুয়ার অনিশ্চিত ফল যখন নিজের ভাগ্যের বিপরীত হয় তখন চরম ব্যর্থতা মেনে নিতে না পেরে ধ্বংসযজ্ঞে লিপ্ত হয় জুয়াড়ি।

আল কোরআন দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছে, ‘হে ইমানদারগণ! নিশ্চয় মদ, জুয়া, মূর্তিপূজা, ভাগ্যনির্ণায়ক, শর এসব অপবিত্র শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা এসব থেকে বেঁচে থাকো। হতে পারে তোমরা সফলকাম হবে। শয়তান মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে চায় এবং আল্লাহর জিকির ও নামাজ থেকে তোমাদের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চায়। তাই তোমরা এসব থেকে কি বিরত থাকবে না?’ সুরা মায়েদা, আয়াত ৯০-৯১।

আল্লাহ আরও বলেন, ‘হে নবী! তারা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। আপনি বলে দিন, উভয়ের মধ্যে নিহিত আছে মহাপাপ। যদিও তাতে মানুষের জন্য কিছুটা উপকারিতা রয়েছে। তবে এগুলোর পাপ উপকারের চেয়ে অনেক বড়।’ সুরা বাকারা, আয়াত ২১৯।

মহানবী (সা.)-এর সুস্পষ্ট ঘোষণা, ‘নিশ্চয় আল্লাহ মদ, জুয়া ও বাদ্যযন্ত্র হারাম করেছেন।’ মিশকাত। শুধু তাই নয়, মহানবী (সা.) চার শ্রেণির মানুষের জন্য জান্নাতে প্রবেশ অসম্ভব বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, জুয়ায় অংশগ্রহণকারী, খোঁটাদাতা ও মদ্যপায়ী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ মিশকাত।

যারা জুয়ার মতো সর্বগ্রাসী ব্যাধিতে মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য নানাবিধ ক্যাসিনোর মতো স্থান তৈরি করে বিশ্বনবী তাদের অভিসম্পাত করেছেন। তিনি মক্কা বিজয় করে কাবাঘরে প্রবেশ করতে অস্বীকৃতি জানান। কেননা কাবাঘরে মূর্তি ছিল। তিনি নির্দেশ দিলেন মূর্তিগুলো বের করে দেওয়ার জন্য। এক পর্যায়ে ইবরাহিম ও ইসমাইল (আ.)-এর মূর্তি আনা হয় এবং তাদের হাতে জুয়ার তীর ছিল।

তখন নবীজি (সা.) বললেন, ‘ধ্বংস হোক তারা, যারা এসব মূর্তি বানিয়েছে। কেননা তারা জানে যে, ইবরাহিম ও ইসমাইল তীর দিয়ে অংশ নির্ধারণের ভাগ্য পরীক্ষা করেননি।’ এরপর তিনি কাবাঘরে প্রবেশ করেন এবং চারপাশে তাকবির বলেন। এরপর সালাত আদায় করেন। বুখারি।

প্রিয় পাঠক! গেল বছরে শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে জাহেলি যুগের জুয়ার আধুনিক রূপ ক্যাসিনোর মতো বিভিন্ন অনৈতিক ও ইসলামী শরিয়ার পরিপন্থী বেশ কিছু কর্মকা- প্রশাসনের নজরে এসেছে। আমরা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি আসুন আমরা নিজেরা এসব জঘন্য ইমান ও সমাজ বিধ্বংসী জুয়া থেকে বেঁচে থাকি এবং আগামীর সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে ব্রতী হই। আল্লাহ আমাদের ওপর রহম করুন।

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বশেষ - ধর্ম