সিল্কসিটি ডেস্ক:
গ্রীষ্মের শুরুতেই রোজা শুরু হওয়ায় হাতের কাছেই পাচ্ছেন অনেক ধরনের মৌসুমি ফল। তার মধ্যে আম অন্যতম। আর রাজশাহীর আম মানেই তো্ তৃপ্তির স্বাদ। তাই চট করেই তৈরি করে নিতে পারেন সবার পছন্দের ফল আমের শরবত। কিন্তু যেহেতু রোজার সময়, তাই সুস্থ থাকাটাও খুব জরুরি। রোজাদার ব্যক্তির হজমের সুবিধার জন্য তৈরি করে নিতে পারেন আম আর টক দইয়ের শরবত।
উপকরণ
পাকা আম ৪ টা
টক দই আধ লিটার
আমন্ড দুধ বা পাস্তুরিত দুধ ১ কাপ অথবা পানি ১ কাপ
কাঁচা মরিচ ৪ থেকে ৫ টি
গোল মরিচ গুড়ো ১ চিমটি
লেবুর খোসা কুচি ১টি
একটি পাতি লেবুর রস ২ টেবিল চামচ
চিনি প্রয়োজন মতো
প্রস্তুত প্রণালী
আমের টুকরোগুলো ব্লেন্ড করে নিন। তারপর ছেঁকে খোসাগুলো ফেলে একটি পাত্রে আমের মিশ্রণ রাখুন। অন্য একটি পাত্রে টক দই আর আমন্ড দুধ ভালো করে ফেটে নিন। যতক্ষণ পর্যন্ত ঘন না হয়। এবার একে একে আমের মিশ্রণ, টক দই মিশ্রণ এবং পরিমাণ মতো চিনি, লেবুর খোসা, গোল মরিচ গুঁড়ো, বিট লবনসহ ব্লেন্ড করে নিন। এরপর ফ্রিজে রেখে ইফতারের আগে বের করে গ্লাসে ঢেলে নিন। ওপরে বরফ কুচি এবং সামান্য লেবুর খোসা কুচি অথবা পুদিনা পাতা ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।
আমের গুণ
আমে ভিটামিন বি’কমপ্লেক্স থাকায় শরীরের স্নায়ুগুলোতে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে তুলে। তাই রোজায় শরীরকে রাখে সতেজ। আমে প্রচুর পরিমাণ এনজাইম থাকে যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। দীর্ঘ সময় রোজা রাখতে হচ্ছে দেখে অনেকে শরীরে বিশেষ যত্ন নিতে পারছে না। তাই আমে খনিজ লবণ পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকায় দাঁত, নখ, চুল মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
টক দইয়ের গুণ
টক দইয়ের ব্যাকটেরিয়া হজমে সহায়ক। তাই এটি পাকস্থলীর জ্বালাপোড়া কমাতে বা হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
টক দই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
টক দইয়ে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা কোষ্টকাঠিন্য দূর করে ও ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে।
হার্ট ও ডায়াবেটিসের রোগীরা এই রোজায় টক দই খেতে পারেন পরিমাণ মতো।
সতর্কতা
অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে যাদের, তারা আম দই শরবত খেলে গলার স্বর ভেঙে যেতে পারে। শরবত খাওয়ার পর কোনো কোমল পানীয় পান করা উচিত নয়। এতে শরবতের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরিমিত পরিমাণ আম-দই শরবত খেতে হবে।
সূত্র: চ্যানেল অাই