ইন্দোনেশিয়ার সেমেরুতে ফের অগ্ন্যুৎপাত

ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশে মাউন্ট সেমেরু আগ্নেয়গিরিতে আজকেও দুইবার অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। এসময় আকাশের দিকে লাভা ও কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। ফলে আগে থেকেই উদ্ধার কাজে নিয়োজিত কর্মীরা আতঙ্কে পালিয়ে যেতে থাকে। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, আগ্নেয়গিরিটিতে বৃহস্পতিবার দুইবার অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে। এসময় ধোঁয়ার কুণ্ডলি সাড়ে চার কিলোমিটার উপরে উঠে যায়। হঠাৎ এমন পরিস্থিতিতে কর্মীরা উদ্ধার কাজ স্থগিত করতে বাধ্য হয়।

উদ্ধারকর্মী সাইফুল হাসান বলেন, এই মুহূর্তে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাওয়া খুবই কঠিন ও বিপজ্জনক। বৃষ্টির ফলে গ্রামগুলোর দিকে লাভা প্রবাহের গতি বেড়েছে বলেও জানান তিনি। অন্যান্য উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, স্থানটি থেকে আগে থকেই বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে দেশটির সেমেরু আগ্নেয়গিরিতে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। আগ্নেয়গিরিটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার ৬৭৬ মিটার উপরে অবস্থিত। মাউন্ট সেমেরু ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে একটি।

তাছাড়া কয়েক দিন আগে ইন্দোনেশিয়ায় ৭ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্প থেকে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অব ফায়ারে অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে এবং আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে।

এর আগে ২০০৪ সালে দেশটির সুমাত্রা দ্বীপে ৯ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর সুনামি আছড়ে পড়ে। এতে ওই অঞ্চলে ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।

২০১৮ সালে অপর একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে লম্বোক দ্বীপে। ওই ভূমিকম্পের কয়েক সপ্তাহ পর পর্যন্ত বেশ কয়েকবার আরও কয়েকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ওই দ্বীপ এবং প্রতিবেশী সামবাওয়ায় ৫৫০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।

ওই বছরই ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং তারপর সুনামি আঘাত হানে সুলায়েশি দ্বীপের পালু এলাকায়। এতে ৪ হাজার ৩শ জনের বেশি মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ