শুক্রবার , ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ইঙ্গ-মার্কিন আগ্রাসন নয়, থেরেসা চান ‘বিশেষ সম্পর্ক’

Paris
জানুয়ারি ২৭, ২০১৭ ১:২৭ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ ইঙ্গ-মার্কিন আগ্রাসনের অবসান চেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নতুন আঙ্গিকের পররাষ্ট্রনৈতিক সম্পর্ক চাইছেন তিনি। ‘বিশেষ সম্পর্ক’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আবারও বিশ্বে ইঙ্গো-মার্কিন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার স্থানীয় সময় আর কয়েক ঘণ্টা পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার বৈঠক। হোয়াইট হাউসের ওই বৈঠকেই ট্রাম্পকে তার স্বপ্ন-বার্তা দেবেন থেরেসা মে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এই খবর নিশ্চিত করেছে।

 

যুক্তরাষ্ট্র সফরে ফিলাডেলফিয়ায় রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যদের সামনে রাখা ভাষণে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্লেয়ার ও ক্যামেরনের সঙ্গে নিজের পার্থক্য স্পষ্ট করেছেন।

 

ব্রিটিশ-মার্কিন ‘বিশেষ সম্পর্কের’ কথা উল্লেখ করে মে বলেন, ‘আশা করি, বিশ্বে নতুন করে নিজেদের ভাবমূর্তি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র আর কখনও কোনও সার্বভৌম দেশে আগ্রাসন চালাবে না।’ তিনি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন-ব্রিটিশ আগ্রাসনকে ‘ব্যর্থ পররাষ্ট্রনীতি’ উল্লেখ করে তাতে ফেরত না যাওয়ার আহ্বান জানান।

 

শুক্রবার ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের আগের রাতে ফিলাডেলফিয়ায় রাখা ওই বক্তব্যে থেরেসা মে বলেন, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র সার্বভৌম দেশগুলোতে আগ্রাসন চালিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে, আর এখন তা পুনরায় গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।

 

তবে তিনি ‘বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়’, বিশেষত সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী লড়াইয়ে দেশ দু’টির ‘নেতৃত্বের সীমাবদ্ধতা’ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।

 

থেরেসা মে আরও বলেন, ‘এর মানে এই নয় যে, আমরা পূর্ববর্তী ব্যর্থ পররাষ্ট্রনীতিতে ফেরত যাচ্ছি। তবে আমরা বাস্তব হুমকির সম্মুখীন হয়েও তা এড়িয়ে যেতে পারি না। আমাদের শক্তিশালী, স্মার্ট হতে হবে এবং লক্ষ্য স্থির রেখে এগোতে হবে। আমাদের নিজেদের স্বার্থ-সম্পর্কিত বিষয়গুলো অবশ্যই সমাধান করতে হবে।’

 

মে ওই বক্তব্য ১৮ মাস আগে পুনরায় কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হওয়া ইরানকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের অন্যতম প্রধান কাজ হলো ইরানের আগ্রাসন থেকে মিত্র দেশগুলোকে রক্ষা করা।’

 

মে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির পারমাণবিক চুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করে আরও বলেন, ‘চুক্তির শর্তগুলো ইরান ঠিকমতো মানছে কিনা, তা আরও সতর্কভাবে খেয়াল রাখা হবে।’

 

গতবছর চিলকোট তদন্ত প্রতিবেদনে ইরাক আগ্রাসনের জন্য ব্লেয়ার ও তার মন্ত্রিপরিষদকে দায়ী করা হয়। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল ব্লেয়ারের। আফগানিস্তান ও ইরাকে আগ্রাসনের শিক্ষায় ২০১৩ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সিরিয়ায় আগ্রাসন চালানোর অনুমোদন দেয়নি।

 

বুধবার এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, ইরাকেতেলের নিয়ন্ত্রণ মার্কিন বাহিনীর হাতে না নেওয়াটাই ছিল ওই আগ্রাসনে বিফলতার মূল কারণ। এসব তেলক্ষেত্রই পরে আইএস-এর অর্থায়ন যুগিয়েছে।

 

মে বলেন, ‘পশ্চিমা মূল্যবোধের নতুন শত্রুদের’ উত্থান ঘটছে। সেই সঙ্গে চীন ও ভারত পশ্চিমা অর্থনীতিকে ‘গ্রাস’ করতে পারে বলে উল্লেখ করেন। মে আরও জানান, বিশ্বব্যাপী বন্ধু, মিত্র ও অংশীদারদের সহযোগিতার ক্ষেত্রে ব্রিটেন আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।

 

ফিলাডেলফিয়ায় থেরেসা মে-র ওই ভাষণকেবেশ গুরুত্ব দিয়েছেন মার্কিন রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যরা। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পল রায়ান বলেন, ‘আমরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের আগ্রহকে পুনর্ব্যক্ত করছি।’

 

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন থেরেসা মে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিষয় ছাড়াও বিশ্বরাজনীতির অনেক কথা আলোচনায় আসবে। আসতে পারে বাণিজ্য সম্পর্কির ঘোষণাও।

 

উল্লেখ্য, সদ্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ব্রেক্সিট বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার বিরোধী ছিলেন। ব্রেক্সিটের বিপক্ষে তিনি যুক্তরাজ্য সফরে প্রচারণাও চালিয়েছিলেন। অপরদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেক্সিটের সমর্থক এবং তিনি একাধিক বক্তব্যে ব্রিটেনের সঙ্গে পৃথক চুক্তি করতেও আগ্রহী বলেও জানিয়েছেন।

 

 

 

সূত্রঃবাংলাট্রিবিউন

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক