ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা কি পূরণ হবে?

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

গোটা বিশ্বকে স্বস্তি দিয়ে গত ১ আগস্ট ইউক্রেনের ওডেসা বন্দর ছাড়ে শস্যবোঝাই একটি জাহাজ। ২৬ হাজার টন ভুট্টা নিয়ে জাহাজটি এখন কৃষ্ণসাগর হয়ে লেবাননের পথে। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু ও ইউক্রেনীয় সমুদ্রবন্দরগুলো অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে এটিই এ ধরনের প্রথম চালান।

গত মাসে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় চুক্তি হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনের বন্দর ছেড়েছে আরও নয়টি জাহাজ। এগুলোতে প্রায় তিন লাখ টন শস্য রয়েছে। আগামী শরতের মধ্যে ইউক্রেনের রপ্তানি যুদ্ধপূর্ব মাত্রায় পৌঁছাবে বলে আশা করছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

জাতিসংঘের বাণিজ্যিক ডেটাবেজ কমট্রেডের তথ্যমতে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর আগে ইউক্রেন প্রতি মাসে প্রায় ৪২ লাখ টন শস্য রপ্তানি করতো। এর কিছু অংশ রেল, সড়ক ও দানিউব নদী দিলে গেলেও বেশিরভাগই রপ্তানি হতো কৃষ্ণাগরের বন্দরগুলো দিয়ে। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর প্রথম তিন মাসে (মার্চ থেকে মে) ইউক্রেনের পণ্য রপ্তানি নেমে যায় স্বাভাবিক মাত্রার মাত্র এক-তৃতীয়াংশে।

এসময় প্রতি মাসে মাত্র ১০ লাখ টন ভুট্টা, ১ লাখ ৬০ হাজার টন গম ও ৫০ হাজার টনের মতো সয়াবিন ইউক্রেন থেকে বেরোতে পেরেছিল। তবে ইউক্রেনীয় কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দানিউব নদী দিয়ে রপ্তানি বাড়ায় গত জুলাই মাসে এর পরিমাণ ২৫ লাখ টনে পৌঁছায়। কর্মকর্তারা বলছেন, কৃষ্ণসাগরের বাড়তি রুটগুলো যোগ হওয়ায় ইউক্রেনের খাদ্যপণ্য রপ্তানি যুদ্ধপূর্ব অবস্থায় ফেরার সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা মাসে ৫০ লাখ টনেও পৌঁছাতে পারে।

তবে এটি খুবই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য। এই লক্ষ্য অর্জনে গত এক সপ্তাহে ইউক্রেনের যে রপ্তানি হার দেখা গেছে, তা দ্বিগুণ করতে হবে। পাশাপাশি, দেশটিতে এতদিন আটকে থাকা শস্যের মজুত কমানোর জন্য রপ্তানি আরও বাড়াতে হবে।

দ্য ইকোনমিস্টের হিসাবে, আনুমানিক এক কোটি টন গম, ভুট্টা ও অন্যান্য খাদ্যশস্য যা রপ্তানি হয়ে যাওয়া উচিত ছিল, তা এখনো ইউক্রেনের গুদামগুলোতে পড়ে রয়েছে। বিশ্বের বেশ কিছু দরিদ্র দেশ খাদ্য ঘাটতিতে ভুগছে। ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি এই ঘাটতি দূর করতে বড় ভূমিকা রাখবে। এটি খাদ্যের দাম কমাতেও সাহায্য করবে।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ