ইউক্রেনের কাছেও ছিল পরমাণু অস্ত্র

বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও দীর্ঘ যুদ্ধের সূতিকাগার ইউরোপ। এর মধ্যে ইউরোপে সৃষ্টি গত শতাব্দীতে দুটো বিশ্বযুদ্ধও দেখেছে বিশ্ব। এরপর কেটে গেছে প্রায় ৭৫ বছর, কোনো বড় যুদ্ধের সৃষ্টি হয়নি এ মহাদেশে। কিন্তু গতকাল বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করেছে। কয়েক মাস ধরে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন নানা হুমকি-ধমকি দিয়েও শেষ পর্যন্ত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে থামাতে পারল না।

এসবের মাঝেই সামনে এলো অন্যরকম এক তথ্য। জানা গেল- স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তিকালে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার না যুক্তরাজ্যের কাছে ছিল, না ফ্রান্স, না চীনের কাছে। এটি ছিল ইউক্রেনের ভূমিতে। সোভিয়েত পতনের পর সদ্য স্বাধীন ইউক্রেন প্রায় পাঁচ হাজার পারমাণবিক অস্ত্র পায়, যা মস্কো সেখানে জমা রেখেছিল। ওই সময় কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কাছে এর চেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র ছিল।

সেই অস্ত্রগুলো ধ্বংস করে দেওয়াকে অনেক সময় নিরস্ত্রীকরণের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ইতিহাস বলে, ওই সময় ইউক্রেন-আমেরিকা উভয় দেশের বিশেজ্ঞরাই পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণের উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অনেকের মতে, বিধ্বংসী ওই অস্ত্রগুলোই রুশ আগ্রাসন ঠেকানোর একমাত্র নির্ভরযোগ্য উপায় ছিল।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন