আসছে শীত, লেপ তৈরীতে ব্যস্ত রাজশাহীর তুলা পট্টির কারিগরেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সকালে শীতল বাতাস। বাতাসে বরফ অনুভুতি। ভোরে কুয়াশা জমে থাকছে ঘাস আর লতাপাতায়। সন্ধ্যা নামতেই শরীরে শীতের ছোঁয়া। প্রকৃতিতে শীত নামতে দেরি নেই। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই শীত নেমে যাবে।

তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে হিড়িক পড়েছে লেপ-তোষক বানানোর। রাজশাহীর গণকপাড়া এলাকার তুলাপট্টির কারিগরেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন, লেপ তোষক বানাতে। রাস্তার পাশে বসেই সকাল-সন্ধ্যা ব্যস্ত তুলা, সুই, সুতাসহ লেপ-তোষক তৈরির সামগ্রী নিয়ে।

অর্ডার মাফিক বিভিন্ন সাইজের লেপ- তোষক বানাচ্ছেন তারা। শীতের হাত থেকে বাঁচতে আবহমানকাল থেকে চলছে লেপ তৈরির কাজ। লেপ তৈরিতে লাল মার্কিন সুতি কাপড়, থান কাপড় ব্যবহার, কার্পাস তুলা, সাদা মিডিয়াম মোটা ঝিল সুতা, বড় এবং মাঝারি সুই। এছাড়া সাদা তুলা, কালো তুলা, কার্পাস তুলা, শিমুল তুলা দিয়ে লেপের পাশাপাশি বিভিন ধরনের জিনিস তৈরি করছেন কারিগররা। তবে শিমুল তুলার বালিশ ভাল হয় বলে এ তুলা দিয়ে বালিশ বানানো হচ্ছে।

এনিয়ে কথা হয় নগরীর প্রিন্স বেড হাইজের পরিচালক সাগর’র সাথে। তিনি সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ-তোষক তৈরি করা হচ্ছে। তবে এখনও কনকনে শীত না থাকায় তেমন অর্ডার পাইনি। অল্প কিছু অর্ডার অার রেডিমেট ভাবে তৈরি করে রাখা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এবার কার্পাস তুলায় প্রতি ডবল লেপ তৈরিতে খরচ হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা এবং সিঙ্গেল লেপ তৈরিতে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা খরচ হচ্ছে। এছাড়া শিমুল তুলা ৩৫০ টাকা কেজি, কার্পাস ‍তুলা ১০০ টাকা কেজি, কালো তুলা ২৫ টাকা কেজি, তালার ৪০ টাকা কেজি, ফোম বা ফাইবার ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

এদিকে, আর কদিন বাদেই শুরু হয়ে যাবে লেপ তোষক কিনতে ক্রেতাদের আনাগোনা। তাই আগাম কিছু লেপ তোষক বানিয়ে রেখে দিচ্ছেন কারিগরেরা। আবার কেউ ব্যস্ত অর্ডারের কাজগুলো করতে।

কারিগরদের মতে, একটি লেপ বানাতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘন্টা। দুই জন কারিগর শুধু মূল কাজটি করে ফেললে সেলাইয়ের কাজটি এক জনেই সম্পন্ন করেন। এভাবে দিনে প্রায় ৫ থেকে ৬ টি লেপ তৈরী করেন কারিগরেরা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লেপ তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন কারিগরেরা।

স/অ