আশুলিয়ায় ডাকাতের গুলিতে গৃহকর্তা খুন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আশুলিয়ায় ডাকাত দলের গুলি ও হামলায় আবুল সরকার (৫০) নামে এক গৃহকর্তা খুন হয়েছেন। এছাড়া হামলায় গৃহকর্তার ছোট ভাইসহ ওই পরিবারের আরও তিন জন গুরুতর আহত হয়েছেন ।

রোববার ভোররাত ৪ টার দিকে আশুলিয়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত আবুল সরকার স্থানীয় হালিম সরকারের ছেলে। তিনি জমি কেনাবেচা ও বাড়ি ভাড়ার দেওয়ার ব্যবসা করতেন।

প্রতিবেশীরা জানান, ভোররাত ৪ টার দিকে একদল ডাকাত আবুল সরকারের টিনসেড ঘরের জানালার গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে। ডাকাতরা গৃহকর্তার কক্ষে থাকা লাইসেন্স করা একটি বন্দুক দখলে নেয়। এরপর বন্দুক ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তারা পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে। এসময় তারা পরিবারের সদস্যদের মারপিটও করে। পরে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল সেটসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। ডাকাতরা চলে যাওয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে  আবুল সরকারের এক প্রতিবেশী বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় মসজিদে ঘোষণা দেয়। ঘোষণা শুনে প্রতিবেশীরা বাড়িটি ঘেরাও করার চেষ্টা করলে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়া শুরু করে। বেশির ভাগ ডাকাত সদস্য পালিয়ে গেলেও দুজনকে আটকের চেষ্টা করেন আবুল সরকার ও তার ভাই মকবুল সরকার। এক ডাকাতকে জড়িয়ে ধরতে গেলে অপর ডাকাত দুই ভাইয়ের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে । পরে আবুল হোসেনের পেটে গুলি করে পালিয়ে যায় তারা।

গুরুতর আহত অবস্থায় আবুল হোসেন ও মকবুল হোসেনকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় প্রতিবেশীরা। সেখানে যাওয়ার পথেই মারা যান আবুল হোসেন। ওই হাসপাতালেই মকবুল হোসেনেরে চিকিৎসা চলছে।

নিহত আবুল হোসেনের প্রতিবেশী আমজাদ হোসেন সরকার জানান, ১০/১২ জন ডাতাত স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে পালিয়ে যায়। তবে পরিবারটি আবুল হোসেনের মৃত্যুতে দিশেহারা হওয়ায় লুট হওয়া মালের পরিমাপ করেনি।

তবে ঘটনাটিকে ডাকাতি নয় বলে দাবি করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ রিজাউল হক দীপুর বলেন, ‘এটি আসলে ডাকাতি নয়, ঘরে সিঁদ কেটে চোর প্রবেশ করেছিল। পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা আবুল হোসেনকে  লাঠি দিয়ে  আঘাত করেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি মারা গেছেন। গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি।’