আল জাজিরার প্রতিবেদন অপপ্রচারের নোংরা বহিঃপ্রকাশ : কাদের

‘দেশের এত স্বনামধন্য ও সরব মিডিয়া যেখানে কোনো ধরনের তথ্য পায়নি, সেখানে আলজাজিরা টেলিভিশনে শেখ হাসিনাকে নিয়ে অসত্য তথ্যপ্রচার অত্যন্ত নিন্দনীয়।’

আজ বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার নিয়ে সম্প্রতি কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরায় সম্প্রচারিত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে নিজের সরকারি সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আলজাজিরার প্রতিবেদন উদ্দেশ্যমূলক ও অপপ্রচারের নোংরা বহিঃপ্রকাশ।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সরকারের সমালোচনাও করছে। দেশের এত স্বনামধন্য ও সরব (ভাইব্রেন্ট এবং অ্যাক্টিভ) মিডিয়া যেখানে কোনো ধরনের তথ্য পায়নি, সেখানে আল জাজিরা টেলিভিশনে শেখ হাসিনাকে নিয়ে অসত্য তথ্যপ্রচার অত্যন্ত নিন্দনীয়।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘লন্ডনে বসে যারা দেশবিরোধী অপপ্রচার করছেন এবং উসকানি দিচ্ছেন; এই প্রতিবেদনের সঙ্গে সেই অশুভ চক্রের যোগসাজশ রয়েছে। জনগণ মনে করেন এ প্রতিবেদন লন্ডনভিত্তিক অংশ।’ তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার অন্যায়-অনিয়ম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা (জিরো টলারেন্স) নীতি স্পষ্ট করেছে।’

৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশে সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার সাহসী ও সুদক্ষ নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে-বিদেশে বসে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করা কোনো কাজে আসবে না বরং বুমেরাং হবে। জনগণ শেখ হাসিনার পাশে রয়েছে, বিগত সময়ে এতো অপপ্রচারের পরেও চলমান পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিপুল বিজয় তারই প্রমাণ।

আলজাজিরা টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে দেশবিরোধী অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগী না হয়ে এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক, বিভ্রান্তিকর এবং একপেশে প্রতিবেদন বন্ধের আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘যারা দেশের স্বাধীনতা ও দেশের উন্নয়ন, অর্জন ও অগ্রগতিকে এখনো মেনে নিতে পারেনি তারাই এই প্রতিবেদনের কৌশলী ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় লিপ্ত।’

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের আইন নিজস্ব গতিতে ও স্বাধীনভাবে চলছে। দুর্নীতি দমন কমিশন নিজস্ব আইনি ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব অনুযায়ী চাপমুক্ত হয়ে কাজ করছে। কোনো ব্যক্তি বিশেষের দায়কে সরকার প্রধানের সঙ্গে লিঙ্ক করা সাংবাদিকতার নীতিবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এটি সঠিক সাংবাদিকতা নয়।’

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ