সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
সিলেটের গোলাপগঞ্জে বন্যার ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। হু হু করে বাড়ছে নদ-নদীর পানি। অব্যাহত বৃষ্টির কারণে হাওর, খাল ও বিলে পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে।
উপজেলার নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলোতে বাড়িঘরে ঢুকে পড়েছে পানি। রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ফলে দুর্ভোগের সীমা ছাড়িয়ে গেছে এ এলাকার লোকজনদের।
প্রতিদিনই উপজেলায় বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। কখনো মুষলধারে আবার কখনো হচ্ছে থেমে থেমে বৃষ্টি। সেই সঙ্গে আছে ঝড়ো হাওয়া। বুধবার সকাল থেকেই চলছে মুষলধারে বৃষ্টি।
বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ার কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উপড়ে পড়েছে গাছপালা। অনেক এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটিও উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
টানা বর্ষণে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার পয়েন্ট দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ার ফলে নিম্নাঞ্চল এলাকার লোকজন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
হাওর, খাল, বিল ও নদীবেষ্টিত শরীফগঞ্জ, বুধবারীবাজার, বাঘা, বাদেতপাশা ও ভাদেশ্বরের একাংশের হাজার হাজার লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টির ফলে এসব এলাকায় বাড়ছে পানি। ইতিমধ্যে ধামড়ি হাওর, বাঘা বিল ও হাকালুকি হাওর পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে।
পানি বৃদ্ধির কারণে শরীফগঞ্জের কালিকৃষ্ণপুর, রাংজিওল, নুরজাহানপুর ও ইসলামপুরসহ ২৫-৩০টি গ্রামের লোকজন রয়েছেন চরম আতংকে।
রাংজিওল এলাকার ইসমাইল হোসেন সিরাজি বলেন, আগে ঝড়ো হাওয়ায় আমার ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। অনেক কষ্ট করে এ ঘরগুলো মেরামত করেছি। এখন আবার শুরু হয়েছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তুমি আমাদের দুর্যোগ থেকে বাচাঁও।’
এদিকে অব্যাহত বৃষ্টির ফলে উপজেলার বিভিন্ন টিলা ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে শত শত পরিবার। এসব পরিবারকে ওখান থেকে সরিয়ে নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
তাছাড়া নেই প্রশাসনের কোনো সতর্কবার্তা। ফলে যে কোনো সময় বৃষ্টির কারণে ঘটতে পারে বড় ধরনের বিপর্যয় এমন ধারণা সচেতন মহলের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবিরাম বৃষ্টির ফলে উপজেলার শরীফগঞ্জ এলাকার রাংজিওল, ইসলামপুর, নুরজাহানপুর ও কালিকৃষ্ণপুরের একমাত্র রাস্তাটি তলিয়ে গেয়ে বন্যার পানিতে। রাস্তার ওপর কোমর পানি হওয়ার কারণে এ চার গ্রামের হাজার হাজার লোকজন পড়েছেন মহাদুর্ভোগে।
তাছাড়া পৌন এলাকা ছাড়াও আমুড়া, বাঘা, বুধবারীবাজার, ভাদেশ্বর, বাদেপাশা, লক্ষ্মীপাশাও লক্ষণাবন্দ এলাকার অনেক নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে পানির নিচে।