আলহামদুলিল্লাহ, আরও বড় গেম আসছে ইনশাআল্লাহ: মুশফিক

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

হারলেই এশিয়া কাপ থেকে বিদায়। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে বুধবার আবুধাবিতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ দল। অঘোষিত সেই সেমিফাইনালে মুশফিকুর রহিমের ৯৯ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তানকে ৩৭ রানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। শুক্রবার ভারতের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।

পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ে বড় ভূমিকা পালন করা মুশফিকুর রহিম নিজের টুইটারে লেখেন, আলহামদুলিল্লাহ, ইনশাআল্লাহ, আরও একটি বড় ম্যাচের সামনে আমরা।

এশিয়া কাপের গ্রুপপর্বে প্রথম খেলায় শ্রীলংকার বিপক্ষে জয় পাওয়া বাংলাদেশ এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে যায়। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হেরে খাদের কিনারায় চলে যায় বাংলাদেশ।

টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে সুপার ফোরের শেষ দুই ম্যাচে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেতে হবে। এমন কঠিন সমীকরণের প্রথম ম্যাচে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজের শেষ বলে আফগানদের বিপক্ষে গত রোববার জয় পায় বাংলাদেশ।

আফগান জয়ের পর পাকিস্তানের বিপক্ষেও আত্মবিশ্বাস নিয়ে বুধবার খেলতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু সাকিব-তামিম ছাড়া বাংলাদেশ দল প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায়।

সেই অবস্থা থেকে ১৪৪ রানের জুটি গড়ে দলকে উদ্ধার করেন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন। ৬০ রান করে মিঠুন ফিরে গেলেও সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন মুশফিক। কিন্তু ভালো খেলা সত্ত্বেও ১ রানের জন্য সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

বাংলাদেশের করা ২৩৯ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে মোস্তাফিজদের বোলিং তোপের মুখে পড়ে ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। সেই অবস্থা থেকে ৬৩ রানের জুটি গড়ে দলকে উদ্ধার করেন ওপেনার ইমাম-উল হক ও শোয়েব মালিক।

রুবেল হোসেনের বলে মাশরাফি বিন মুর্তজার দুর্দান্ত ক্যাচে ৩০ রানে ফেরেন মালিক। এরপর ৯ রানের ব্যবধানে ফেরেন শাদাব খান। ৯৪ রানে ৫ উইকেট হারানো পাকিস্তানে খেলায় ফেরান ইমাম-উল-হক ও আসিফ আলী। ষষ্ঠ উইকেটে তারা ৭১ রানে জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। ভয়ঙ্কর হয়ে যাওয়া এই জুটির ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি ফেরান ৩০ রান করা আসিফ আলীকে।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে পাকিস্তানের উইকেট তুলে নেন টাইগাররা। দুর্দান্ত খেলতে থাকা পাকিস্তান ওপেনার ইমাম-উল-হককে ৮৩ রানে ফেরান মাহমুদউল্লাহ। হাসান আলী এবং মোহাম্মদ নওয়াজকে ফেরান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ।

শেষ দিকে রান রেট বেড়ে যাওয়ায় লেজের ব্যাটসম্যান শাহিন শাহ আফ্রিদি ও জুনায়েদ খান দলের পরাজয় এড়াতে পারেননি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২০২ রানে থেমে যায় পাকিস্তান।

৩৭ রানের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজ। ২ উইকেট নেন মিরাজ।