‘আরব আমিরাতের চুক্তি আরব বা মুসলিম বিশ্বের সিদ্ধান্ত নয়’

ইহুদিবাদীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত যে শান্তি চুক্তি করেছে, তা মুসলিম বিশ্বের কোনো সিদ্ধান্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান।

শনিবার পেশোয়ার শহরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর জিয়ো নিউজ উর্দুর।

মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, আরব আমিরাতের এ শান্তি চুক্তি ফিলিস্তিনের ৭০ বছরের স্বাধীনতা আন্দোলনের সম্পূর্ণ বিরোধী।

তিনি বলেন, যেকোনো মুসলিম দেশের জন্যই স্বজাতির স্বার্থ ও তাদের স্বাধীনতা আন্দোলনকে মূল্যায়ন করা উচিত। চাই তা ফিলিস্তিন, কাশ্মীর বা আফগানিস্তানই হোক না কেন।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী এ রাজনীতিবিদ আরও বলেন, মূলত মুসলিম বিশ্বের যেসব দেশ সামরিক শক্তির দিক থেকে অত্যন্ত দুর্বল,ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য তাদের প্রতিই বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় আরব আমিরাতকেও শান্তিচুক্তি ও স্বীকৃতি প্রদানের জন্য বাধ্য করা হয়েছে।

মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, আমি মনে করি, আরব আমিরাতের মূল চালিকাশক্তি হল আমেরিকা। যদিও নামমাত্র সেখানে কয়েকটি গোত্র বসে আছে যারা নিজেদেরকে বাদশা মনে করে। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক শক্তির দিক থেকে তাদের তেমন কোনো অবস্থানও নেই।

তিনি বলেন, আরব আমিরাতের শান্তি চুক্তির এ সিদ্ধান্ত মুসলিম বিশ্বের কোনো সিদ্ধান্ত নয় এবং আরব বিশ্বেরও কোনো সিদ্ধান্ত নয়। এ সিদ্ধান্ত তাদের একার।

মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ বিরুদ্ধ এ চুক্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়ে মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, আজকে মুসলিম বিশ্ব যদি এর জোরালো প্রতিবাদ না করে তাহলে আগামীতে তারা আরও জঘন্য কোনো সিদ্ধান্তের প্রতি অগ্রসর হতে পারে।

প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যাস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের মাঝে ঐতিহাসিক এক শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বৃহস্পতিবার এ চুক্তি করা হয়।

শুক্রবার পর্যন্ত সৌদি আরব ও দেশটির নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত আরব লীগ এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি বলে আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে।

উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম মিসর চুক্তিটির সরাসরি সমর্থন করে। এরপর সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ মিত্র বাহরাইন এবং ওমানও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অভিনন্দন জানিয়েছে।

অন্যদিকে ফিলিস্তিন, তুরস্ক, ইরানসহ বিশ্বের অনেক দেশ ইসরাইলের সঙ্গে এমন কূটনৈতিক সম্পর্কের নিন্দা জানিয়েছে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর