আমরা গণফোরাম ৩০-৪০টি আসন চেয়েছি: ড. কামাল

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সময়স্বল্পতার কারণে এখন জোটগতভাবে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে না। আপাতত দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে। তবে আসন নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা গণফোরাম ৩০-৪০টি আসন চেয়েছি। তার মধ্যে ঢাকাতে দুটি আসন থাকতে হবে।’

তবে কোন দুটি আসন এখনো নিশ্চিত করেননি ড. কামাল হোসেন।

মঙ্গলবার আসনবণ্টন নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ড. কামাল বলেন, ‘এটা জোটগতভাবে হচ্ছে না। আলাদা আলাদা হচ্ছে। পরে বসে এগুলোকে সমন্বয় করা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, সময়স্বল্পতার জন্য এখন দলীয়ভাবে হচ্ছে। তবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আগেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

নির্বাচন কমিশন ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত ঐক্যফ্রন্ট মেনে নিচ্ছে কি না জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘না মেনে নিলে কী করা যাবে? সংসদ নির্বাচন তো এ কারণে আমরা বাদ দেব না।’

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই জোটের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অসুস্থতার কারণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন নির্বাচন করবেন না।

তিনি বলেন, আপাতত জোটগতভাবে নয়, দলীয়ভাবে মনোনয়ন জমা দেবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। পরে আলোচনাসাপেক্ষে জোটের প্রার্থী চূড়ান্ত করে বাকিদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসন ভাগাভাগি নিয়ে গণফোরামের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। যে দলের প্রার্থী যোগ্য সেই দলের প্রার্থীর জন্য ছাড় দেয়া হবে। আমাদের প্রার্থী যোগ্য হলে ওদের বলব ছাড় দিতে। আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। ঐক্যবদ্ধভাবেই আগামী নির্বাচনে লড়ব।’

বৈঠক শেষে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, জোটের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইশতেহারে দলগুলোর যাতে সামঞ্জস্য থাকে সে বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে এত কথা বলার পরেও কমিশন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি রাখেনি, এটা দুঃখজনক। কমিশনের একজনের আত্মীয় সরকারি দলের হয়ে নির্বাচন করছে, যা সন্দেহের উদ্রেক করছে।