আবারো বিপিএম পদক পেলেন শিবগঞ্জের তৌহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

অসম সাহসিকতা এবং অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ সম্মাননা বিপিএম পদক-২০১৯ পেলেন কাউন্টার টেররোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার তোহিদুল ইসলাম।

আজ রোববার রাজধানীর রাজারবাগে অনুষ্ঠিত পুলিশের বার্ষিক কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে সাহসিকতা ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতস্বরুপ পদকপ্রাপ্তদের পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

তৌহিদুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুরে। বর্তমানে তিনি কাউন্টার টেররোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত আছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের এ কৃতিসন্তান রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষে প্রথমে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে যোগ দেন। একজন সৎ ও চৌকস কর্মকর্তা হিসেবে তিনি ইতোমধ্যে পুলিশে বেশ নাম করেছেন। নিয়েছেন দেশ বিদেশে নানা
প্রশিক্ষণ।

সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই  একাডেমী হতে এফবিআই গ্রাজুয়েট কোর্স সম্পন্ন করেছেন। তাঁর কাজের স্বীকৃতি স্বরুপগ গত ২০১৭ সালে বিপিএম (সাহসিকতা) ও ২০১৮ সালে আইজিপি এক্সাম্পলারি গুড সার্ভিস ব্যাচ এবং এ বছর আবার বিপিএম (সাহসিকতা) পদক পেলেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে নৃবিজ্ঞানে মাস্টার্স করে পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে পুলিশ সায়েন্সে দ্বিতীয় মাস্টার্স করেন। ছাত্রজীবনে তিনি মেধাবী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি পুলিশের পেশার বাইরে নিয়মিতভাবে গান করেন। তার গানের একাধিক মিউজিক ভিডিও ইতোমধ্যে ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে।

পদকপ্রাপ্তির বিষয়ে তাঁর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- যেকোন কাজের স্বীকৃতি, দেশের প্রতি, পেশার প্রতি দায়িত্ববোধ আরও বাড়িয়ে দেয়। দেশটাকে আমি “মা” মনে করি। তাই মায়ের সেবা আমার কাছে ইবাদতের সামিল। ভবিষ্যতে যাতে পেশার প্রতি দায়িত্বশীল থেকে কাজ করে যেতে পারি সে জন্য
সবার দোয়া প্রার্থী।

উল্লেখ্য, প্রতিবছরের মতো এবারও সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে চারটি ক্যাটাগরিতে পদক দেওয়া হয়েছে। এ বছর মোট ১১৮ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক-বিপিএম সাহসিকতা ও সেবা এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক-পিপিএম সাহসিকতা ও সেবা পদক দেওয়া হয়।