আফগানদের গুঁড়িয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

সিল্কসিটিনিউজ ক্রীড়া ডেস্ক:

আগের তিন ম্যাচের দুটিতে ১-১ ব্যবধানে সমতা থাকায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের  তৃতীয় ম্যাচটি কিছুটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে শনিবার মিরপুরে তামিম ইকবালের সেঞ্চুরি আর মোশাররফের দারুণ বোলিংয়ে সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে গেছে বাংলাদেশ।  সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দেওয়া ২৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান।

 

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩৩.৫ ওভারেই সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৮ রানে তুলতে সক্ষম হয় সফরকারী আফগানরা। ফলে ১৪১ রানের জয়ে ২-১ ব্যবধনে সিরিজ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ।

 

মাশরাফির দ্বিতীয় ওভারেই বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন মোহাম্মদ শাহজাদ (০)।

 

ইনিংসের ১৪তম ওভারে বোলিং করতে এসে আক্রমনাত্মক হয়ে উঠা নওরোজ মঙ্গলকে ফেরান মোশাররফ হোসেন রুবেল। ওভারের তৃতীয় বলে মঙ্গলকে ফেরানোর পর শেষ বলে হাসমতউল্লাহ সাইদিকে ফেরান তিনি। তার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তামিমের হাতে ধরা পড়েন হাসমতউল্লাহ সাইদি।

 

এরপর তাসকিনের করা প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফিরতে হয় আফগান অধিনায়ক আসগর স্টানিকজাইকে। তাসকিনের করা ইনিংসের ১৭ তম ওভারের তৃতীয় বলে রানআউটের খড়গে পড়ে মাঠ ছাড়েন স্টানিকজাই।

 

ইনিংসের ২৫ তম ওভারের তৃতীয় বলে রহমত শাহকে ফেরান তাসকিন। আউট হওয়ার আগে ৭৬ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। এর পরের ওভারেই আফগান তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবীকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিনত করেন মোশাররফ হোসেন রুবেল।

 

এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলায় টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

 

ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের সপ্তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৭৯ রান করে বাংলাদেশ।

 

১১৮ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১৮ রান করেন তামিম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৫ রান আসে সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় উইকেটে ১৪০ রানের বড় জুটিও গড়েন দুজন।

 

এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ৩২, সাকিব আল হাসান ১৭, মুশফিকুর রহিম ১২, সৌম্য সরকার ১২ রান করেন।

 

আফগানিস্তানের পক্ষে মোহাম্মদ নবী, মিরওইয়াজ আশরাফ ও রশিদ খান ২টি করে উইকেট নেন। দৌলত জাদরান ও রহমত শাহর ঝুলিতে জমা পড়ে একটি করে উইকেট।

সূত্র: রাইজিংবিডি