রোহিঙ্গা গণহত্যা

আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের আপত্তি খারিজ, মামলা চলবে

পুরনো ছবি

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় মিয়ানমারের আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে)। এতে রোহিঙ্গা গণহত্যার মূল মামলার শুনানির পথ উন্মোচিত হলো। আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় রায় পড়ে শোনান আইসিজে সভাপতি বিচারপতি জোয়ান ই দোনোঘুই।

মিয়ানমারের দাবি ছিল, গাম্বিয়ার করা এই মামলার বিচার করার এখতিয়ার আইসিজের নেই। এর আগে গত ফেব্রুয়াারিতে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের আদালতে মিয়ানমারের আপত্তির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ৪ দিন বিষয়টির ওপর আদালত উভয় পক্ষের যুক্তি–পাল্টাযুক্তি শোনেন। তবে শুক্রবারের রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার করার পুরো এখতিয়ার রয়েছে তাদের।

২০১৭ সালে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে, ধর্ষণ ও হত্যা করে জাতিগত নিধন অভিযান চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সে সময় নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। তারা এখনও তাদের জন্মভূমিতে ফিরতে পারেনি। রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিজেতে মামলা করে গাম্বিয়া। ওই বছরের ১০-১২ ডিসেম্বর এই মামলায় প্রথমবার প্রাথমিক শুনানি হয়। এতে গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির আইন ও বিচার মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। আর মিয়ানমারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন দেশটির নেত্রী অং সান সু চি।

২০২০ সালে আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার দলিল দাখিল করে গাম্বিয়া। সেখানে দেখানো হয়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কীভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। তবে এ মামলায় আইসিজের এখতিয়ার নেই দাবি করে একপর্যায়ে চ্যালেঞ্জ জানায় মিয়ানমার সরকার। সু চি কারাবন্দি থাকায় এ বিষয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত শুনানিতে অংশ নেন মিয়ানমার জান্তার প্রতিনিধিরা। সূত্র : আমাদের সময়

এএইচ/এস