আত্রাইয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য ঊর্ধ্বমুখী: মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস

আত্রাই প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর আত্রাইয়ে বিভিন্ন বাজারে লাগামহীন হয়ে পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। কোন ভাবেই কমছে না এসব দ্রব্যের মূল্য। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে প্রতিটি পন্যের দাম। বিশেষ করে সবজির বাজারে দেখা দিয়েছে ভয়ানক আগুন।

 

সম্প্রতি আত্রাইসহ দেশের উত্তর অঞ্চলের সবজি দাম দ্রুত বেড়ে যায়। বাজার ঊর্ধ্বগতির জন্য সবজি বিক্রেতারা আমদানীকে দায়ী করলেও বাজার মনিটরিং না হওয়াকে দায়ী করছেন ক্রেতারা। তাদের দাবী এখন সবজির আমদানী অনেক বেশি কিন্তু বাজার মনিটরিং না থাকায় দাম বেশি নিচ্ছে বিক্রেতারা। পর্যাপ্ত পরিমান আমদানির পরও বাজারে কৃত্তিম ভাবে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে ব্যবসায়ীরা।

 

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারের দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বমুখি। কোন ভাবেই কমছে না প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। বাজার করতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ছে দিন এনে দিন খাই এমন লোকজন।

 
মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রসুনের বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, কাচা মরিচ ১২০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৫৫ টাকা, ফুলকপি ১২০টাকা, কচু ৪০টাকা, বরবটি ৫০ টাকা একই সাথে বেড়েছে বিভিন্ন শাক-সবজির দাম। গত কয়েক দিনেই বেড়েছে ডালের দাম। মুসুরি ১২৫-১৩০ টাকা, মুগ ৭০-৭৫ টাকা, ছোলা ৬৫-৭০ টাকা, শুকনা মরিচ ২শ টাকা।

 
উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের ক্রেতা আব্দুল মজিদ মন্ডল জানান, কাচা বাজারের কোন শাক-সবজির দাম ৪০ টাকার নিচে নেই। তাই কেনাকাটা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

 
উপজেলার কাশিয়াবাড়ি কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক থাকলেও  বেগুন ও কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

 
তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত বন্যায় সবজির জমি তলিয়ে যাওয়ায় ও সরবরাহ কম থাকায় বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এদিকে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।

স/শ