আতিয়া মহলের দুই মামলা পিবিআইতে স্থানান্তরের নির্দেশ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহল থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার ও বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে। মামলার অগ্রগতি ও যথাযথ তদন্তের জন্য পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পিবিআই-এর বিভাগীয় পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মল্লিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের নির্দেশে আতিয়া মহলের মামলা দুটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়েছে। মামলা দুটি নিয়ে আগামী সোমবার (১৫ মে) গণমাধ্যমে প্রেসবিফ্রিং করা হবে, তখন সবকিছু জানানো হবে।’
পিবিআই-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরওয়ার জাহান বলেন,‘এখনও মামলা দুটি পিবিআইতে আসেনি। সিলেট মহানগরীর মোগলাবাজার থানার ওসিকে বলা হয়েছে মামালা দুটির ডকেট জমা দেওয়ার জন্য।’
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা জানান, পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের নির্দেশে আতিয়া মহলের মামলা দুটি এখন থেকে পিবিআই তদন্ত করবে। মামলা স্থানান্তর করাসহ আতিয়া মহল থেকে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন আলামত পিবিআইকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ ভোরে আতিয়া মহলে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ২৫ মার্চ সকাল থেকে ২৮ মার্চ সন্ধ্যা পর্যন্ত আতিয়া মহলে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো দল আতিয়া মহলে অপারেশন টোয়াইলাইট পরিচালনা করে। ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় ভবন সংলগ্ন পাঠানপাড়া দাখিল মাদ্রাসার পশ্চিমে পর পর দুই দফা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় র্যা বের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদসহ ৭ জন নিহত হন।

এ ঘটনার পর মোগলাবাজার থানার এসআই শিপলু দাস বাদী হয়ে হত্যা মামলা এবং এসআই সুহেল বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় অপারেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদফতরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান। অভিযানে চার জঙ্গি নিহত হয়। এরপর আতিয়া মহলকে বিস্ফোরকমুক্ত করতে ‘অপারেশন ক্লিয়ারিং আতিয়া মহল’ শুরু করে র্যা বের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।

 

সূত্র: বাংলাট্রিবিউন