আজ রথযাত্রা শেষ, ক্রেতা কম বিপাকে ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্যদিয়ে সনাতন হিন্দু ধর্মের শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব শুরু হলেও, মেলার শেষের দিকে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। বিভিন্ন ধরনের কাঠের আসবাবপত্র ও খাবার দোকান এবং হরেক রকমের দোকানের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এসব দোকানে পর্যাপ্ত ক্রেতার দেখা মিলছে না। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নিয়ে আসা আসবাবপত্র ও অন্যান্য পণ্য সামগ্রীর বেশিরভাগ এখানো বিক্রি হয় নি। কিন্তু এদের মধ্যে কোনো কোনো ব্যবসায়ী মেলার জন্য জায়গা ভাড়া করেন। চুক্তিমতো ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। রাস্তার দুপাশ ছাড়াও বাড়ির সামনে বিভিন্ন পণ্যের সামগ্রীর পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের মতে, এবছর ঈদ ও রথের মেলা একসঙ্গে শুরু হওয়ায় তারা ক্রেতা-সঙ্কটে পড়েছেন। গত বছর রথের মেলায় ব্যাপক ভিড় ও বেচাবিক্রি ছিল পর্যাপ্ত। মেলার আগের দিন ও শেষ দিন ব্যাপক ভিড় হয়। তবে এবছর মেলার চিত্রটা একটু ভিন্ন। বেচাবিক্রি না থাকায় মাথায় হাত। লাভের উদ্দেশ্যে এসে লোকশান গুনতে হয় কিনা, তা নিয়ে চিন্তিত বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

নগরীতে গত ২৫ জুন জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা শুরু হয়। উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে সপ্তাহব্যাপি এ ধর্মীয় উৎসব শেষ হবে আজ সোমবার। রথযাত্রা উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এবং মন্দির নানা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে মন্দিরগুলো। এরমধ্যে নগরীর রেশমপট্টিস্থ ইসকন ও ঘোরামাড়া রথবাড়িসহ কয়েকটি জায়গায় আনন্দঘন উৎসবে রথ উদযাপন আয়োজন করে।
নগরীর বেলদারপাড়া মোড় থেকে শুরু করে আলুপট্টি পর্যন্ত রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের দোকানিরা পসরা সাজিয়ে রেখেছেন।

ছোট শিশু ও বড়দের সমাগম দেখা যায় রথের মেলায়। মেলায় হরেক রকমের জিনিসের মধ্যে চেয়ার, টেবিল, সোফা, সেলফ, খাট, বেলুন ও ছোট বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া খাবারের মধ্যে রয়েছে পাপড়, চটপটি, ফুচকা, জিলাপি, নিমকি, চানাচুর, মুনাক্কা, খুরমা, নুকুল দানা, সন্দেশ, কালাইয়ের ডালের পাপড়সহ বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রি হচ্ছে এই মেলায়। রাজশাহীর আশেপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ব্যবসায়ীরা রাস্তার ওপর দোকান বসিয়েছেন।

এদিকে রাজশাহীর সরদা থেকে আসা খাবার দোকান ব্যবসায়ী সাগর হলদার বলেন, এবছর মেলায় খাবারের বেচাবিক্রি কমেছে। ভাল ব্যবসা নেই। মেলায় ক্রেতার সমাগম কম। তবে বিকেলের পর থেকে রাতের দিকে একটু বাড়ছে। এসময় যেটুকু ব্যবসা হচ্ছে।

রাজশাহী মহানগর পুজা উদযাপন পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, প্রতি বছরের মতো এবারও যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদার সঙ্গে রথ নিয়ে শহরে শোভাযাত্রা বের করা হয়েছে। শোভাযাত্রা শেষে ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ওই দিন সন্ধ্যা নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

স/আ