নিজস্ব প্রতিবেদক:
মানুষের মনে আনন্দের ফল্গুধারা। কয়েক দিন ধরেই তারা প্রস্তুতি নিয়েছে নিজেদের শিকড়সন্ধানী উৎসবের।
জাতিসত্তার সুন্দরতম আনন্দ প্রকাশের সেই দিন এলো বাঙালির জীবনে। আজ শনিবার, পহেলা বৈশাখ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। আজ থেকে আরেকটি নতুন বছরের পরিক্রমা শুরু হলো বাঙালির নিজস্ব বর্ষপঞ্জিতে। বাংলাভাষীর জীবনে এলো এক অমলিন আনন্দের দিন। বাঙালি আজ সকালে জেগে উঠেছে নতুন সূর্যের আলোয়; আজ সবাই দিনভর মেতে রইবে নাচে-গানে, উৎসবে-আমোদে।
পহেলা বৈশাখ জাতির এক অনুপ্রেরণার দিন। সবচেয়ে বৃহত্তম অসাম্প্রদায়িক ও সর্বজনীন উৎসবও। আজ সর্বস্তরের মানুষ হৃদয়ের টানে, বাঙালিয়ানার টানে মিলিত হবে এ উৎসবে। তাতে থাকবে না কোনো ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ, থাকবে না ধনী-গরিবের বৈষম্য।
উৎসবে শামিল হয়ে বাঙালি তার আপন ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক নিজস্বতা ও গৌরবময় জাতিসত্তার পরিচয়ে আলোকিত করছে। বাঙালির এ চেতনাই গোটা জাতিকে মিলিত করেছিল, মহান মুক্তিযুদ্ধে নিজস্ব অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে প্রেরণা জুগিয়েছিল। পহেলা বৈশাখে তাই বাঙালি আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে আবার জেগে ওঠে, এক সুরে গেয়ে ওঠে বাঙলির জয়গান।
পহেলা বৈশাখে রাজধানী রাজশাহীসহ সারা দেশের নানা বয়সের মানুষ উৎসবের আলোয় রঙিন হয়ে উঠবে। পোশাক-পরিচ্ছদ, খানাপিনা, গানবাদ্যসহ সব কিছুতে থাকবে বাঙালিয়ানার প্রাধান্য। দিনভর ঘোরাঘুরি, আড্ডা, আমন্ত্রণ ও তুমুল উচ্ছ্বাসে মেতে উঠবে জাতি। যান্ত্রিক শহর ঢাকার মানুষ সাতসকালেই বের হয় ঘর থেকে।
নারীরা পরে লাল-সাদা শাড়ি, ছেলেদের পরনে রংবেরঙের পাঞ্জাবি, ফতুয়াসহ বৈশাখের সাজসজ্জা। মা-বাবার সঙ্গে বেরিয়ে পরে শিশু-কিশোরের দল। রাজশাহীতে আজ বসেছে নানা সাংস্কৃতিক উৎসব। মানুষ দল বেঁধে তাতে অংশ নেয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের আয়োজনে বর্ণিল মঙ্গল সোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও নগরীর পদ্মাপাড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স/আর