আগুন থেকে নিরাপদ থাকার উপায়, রাজধানীতে চলছে জনসংযোগ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর কল্যাণপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন সরকার বলেন, সারা দেশে ৪০০ অধিক টিম আগুন হতে নিরাপদ থাকার লক্ষ্যে অগ্নিনির্বাপন সচেতনতা নিয়ে কাজ করছে।

মো. নাজিম উদ্দিন সরকার বলেন, অনেক সময় সিলিন্ডার গ্যাস থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে, ঘটছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স দেশের ঋতু পরিবর্তনের শুরুতেই জনসচেতনতার লক্ষ্যে কাজ করছে।

কল্যাণপুর ফায়ারসার্ভিস ও সিভিলডিফেন্স স্টেশনের শাখার লিডার মুজিবুর রহমান শনিবার (১১ ফেরুয়ারি) ঢাকার আদাবর থানাধীন বিভিন্ন মার্কেটের দোকানে ও বাসাবাড়িতে জনসচেতনতা লক্ষ্যে প্রচারনার সময় জানালেন, ঋতু পরিবর্তনের কারনে রাজধানীসহ সারাদেশে আগুন হতে নিরাপদ থাকার লক্ষ্যে অগ্নিনির্বাপন কিভাবে করবেন, সেই লক্ষ্যে পাড়া মহল্লায় জনসংযোগ করছে সমগ্র বাংলাদেশে ফায়ারসার্ভিস।

তিনি বলেন, গ্রাম ও শহরে ইদানীং সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার বেড়েছে। আগুন এমন এক প্রাকৃতিক উপাদান যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের প্রতিটি সকাল শুরু হয় আগুনের ব্যবহার দিয়ে। আগুন দ্রুত প্রজ্বলনশীল পদার্থের রাসায়নিক বিক্রিয়াবিশেষ। এটি তাপোৎপাদী, দহন বিক্রিয়ায় পদার্থের দ্রুত জারণ প্রক্রিয়া।

আরো বলেন, এতে উত্তাপ, আলোসহ বহুবিধ রাসায়নিক উত্তাপ সৃষ্টি হয়। আগুন গরম, কারণ আণবিক অক্সিজেনের দুর্বল দ্বি-বন্ধন, দহন বিক্রিয়ার উত্তাপ কার্বন ডাইঅক্সাইড ও পানির দৃঢ় বন্ধনে রূপান্তরের সময় শক্তি উৎপাদন করে। উন্নত বিশ্বে বেশ কিছু যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণ ও প্রাণহানী এখন অনেক কমে গিয়েছে। যদিও আমাদের দেশের শিল্প-কারখানা, মার্কেট ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ব্যয়ের কারণে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে চান না। অনেকে স্থাপন করলেও তা সঠিকভাবে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন না। ফলে দুর্ঘটনায় প্রচুর জানমালের ক্ষতি হয়।

তিনি বলেন, কোথাও আগুন লেগে গেলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলেও রাস্তায় জ্যামসহ নানা কারণে তাদের আসতে সময় রাগে। এরপর পাইপ স্থাপন করে কাজ শুরু করতেও কিছুটা সময় নষ্ট হয়। আর এ সময়ের মধ্যে প্রায়ই আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কিন্তু স্প্রিংকলার এসব ঝামেলা থেকে দূরে রাখে। এটি মূলত পানির পাইপের নেটওয়ার্ক ও তার স্থানে স্থানে স্থাপিত স্বয়ংক্রিয় পানি ছেটানোর ব্যবস্থা। স্প্রিংকলারের কাজ পানি ছিটানো। বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্থাপনার স্থানে স্থানে স্প্রিংকলার বসানো থাকে। কোথাও আগুন লেগে গেলে এ স্প্রিংকলারগুলোর মুখের সংবেদনশীল অংশটি অবমুক্ত হয়ে যায়। ফলে তা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি ছিটানো শুরু হয়। এতে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই।

সূত্র: আমাদেরসময়