আগুনে বোলিংয়ে জোড়ায় জোড়ায় শিকার ধরলেন মুস্তাফিজ

মিরপুরের ২২ গজে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটাররা যখন রান উৎসবে মেতেছেন, তখন হুট করে নেমে এলো বৃষ্টি। ৬৪ মিনিট পর খেলা শুরু হলেও ম্যাচর দৈর্ঘ্য কমে আসে। ভেজা উইকেটে জ্বলে ওঠেন মুস্তাফিজুর রহমান। একে একে শিকার করেন ৫ উইকেট।

যদিও তাঁর শেষ তিন ওভারে ২টি করে উইকেট পড়েছে। একটি রান আউট। মুস্তাফিজের এমন আগুনে বোলিংয়ে কর্তিত ১৮ ওভারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৩৮ রান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে প্রথম ওভারেই ধাক্কা দেন নাহিদুল ইসলাম। তাঁর তৃতীয় বলে মিড অফে ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি হন চ্যাডউইকট ওয়ালটন (০)। এরপর হাত খুলে খেলতে থাকেন অপর ওপেনার উইল জ্যাকস আর তিন নম্বরে নামা আফিফ হোসেন ধ্রুব। দুজনের ৬২ রানের জুটি ভাঙে আফিফের বিদায়ে। তানভীর ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে আফিফের ২১ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৭ রানের সম্ভাবনাময় ইনিংসটির পরিসমাপ্তি ঘটে। তবে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৩১ বলে ৪ চার ৩ ছক্কায় ফিফটি তুলে নেন উইল জ্যাকস। তাঁর সঙ্গী শামীম হোসেনও আজ ব্যর্থতা কাটিয়ে ভালোই খেলছিলেন। ১২.৫ ওভারে চট্টগ্রামের সংগ্রহ যখন ২ উইকেটে ১০৭ রান, তখন হুট করে নেমে আসে বৃষ্টি। বন্ধ হয়ে যায় খেলা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খেলা ফের শুরু হয়। তবে খেলা নেমে আসে ১৮ ওভারে। নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে ২২ বলে ২৬ করা শামীমকে ফেরান মুস্তাফিজ।

একই ওভারের শেষ বলে দ্য ফিজের ঝুলিতে আসে আরো একটি উইকেট। ৩৬ বলে ৫ চার ৩ ছক্কায় ৫৭ রান করা ওপেনার উইল জ্যাকস ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফের সীমানা দড়ির ওপর ডুপ্লেসিসের হাতে ধরা পড়েন। উইকেটে আসেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক নাঈম ইসলাম। কিন্তু মুস্তাফিজের দ্বারা কট অ্যান্ড বোল্ড হওয়ার আগে তাঁর সংগ্রহ ৫ বলে ৩! একই ওভারের চতুর্থ বলে কুমিল্লার বড় ভরসার নাম বেনি হাওয়েলকে (৩) ফেরান দ্য ফিজ। নিজের এবং ইনিংসের শেষ ওভার করতে এসে মেহেদি মিরাজকে (৪) ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি করে মুস্তাফিজ পেয়ে যান পঞ্চম উইকেট। ওভারের শেষ বলেও একটি উইকেট পড়েছে। তবে মৃত্যুঞ্জয় (১) রান আউট হওয়ায় সেটি মুস্তাফিজের নামের পাশে যুক্ত হচ্ছে না। ৪ ওভারে ৫ উইকেট নিতে দ্য ফিজের খরচ ২৭ রান। কর্তিত ১৮ ওভারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৩৮ রান। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন নাহিদুল ও তানভীর।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ