সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ
আগামী সপ্তাহে মানবপাচার প্রতিবেদন (টিআইপি রিপোর্ট)-২০২২ প্রকাশ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ রিপোর্টে ২২টি অধ্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৮৮টি দেশের তথ্য থাকবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের মানবপাচার পরিস্থিতির ওপর আলাদা অধ্যায় থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) ঢাকায় আমেরিকান সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, টিআইপি প্রতিবেদনটি পাচার রোধ করার লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টায় বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি। এটি মানবাধিকার, আইন প্রয়োগ এবং জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতি মার্কিন সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
‘প্রতিবেদনে বাস্তব ফলাফলের সঙ্গে অগ্রগতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাচার রোধ করার প্রচেষ্টা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সম্ভাব্য পদক্ষেপ এবং সরকারের প্রয়াসের ঘাটতিগুলো তুলে ধরা হয়েছে। বেসরকারি সংস্থা নয়, সরকারের প্রচেষ্টার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মানবপাচার একটি অপরাধ। এটি ব্যক্তি কল্যাণ, জনস্বাস্থ্য, জননিরাপত্তা, জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনে।’
মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, মানব পাচারের বিরুদ্ধে কাজ করা ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের অন্যতম অগ্রাধিকার। মার্কিন দূতাবাস সব সময় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বজায় রাখে। পাচার থেকে উদ্ধার করা ব্যক্তিদের সুরক্ষা পরিষেবা উন্নত করতে ও পাচারের ঝুঁকি কমাতে দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা প্রদান করে।
তিনি আরও বলেন, মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। পাচার বন্ধ করতে এনজিও এবং সরকারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। এই অভিশাপের অবসান ঘটাতে সমাজের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
টিআইপি প্রতিবেদনে তিনটি স্তর তথা টায়ার রয়েছে। প্রথম টায়ার মানে মানব পাচার প্রতিরোধে গৃহীত সর্বনিম্ন মান নিশ্চিত আছে। দ্বিতীয় টায়ার মানে সর্বনিম্ন মান নিশ্চিতের চেষ্টা করা হচ্ছে। তৃতীয় টায়ার মানে হলো, মানব পাচার প্রতিরোধে সর্বনিম্ন মান নিশ্চিত করার যথেষ্ট চেষ্টা নেই। বর্তমানে বাংলাদেশ দ্বিতীয় টায়ারে রয়েছে।
সুত্রঃ জাগো নিউজ
