আগামী নির্বাচনের খরচ ৬শ’ কোটি টাকা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

প্রতিবছরই বাড়ছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের বাজেট। নির্বাচন কমিশন সংস্কার, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার, সির্বাচনী কর্মকাণ্ড বাড়ার কারণে এ খাতে খরচও বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় জাতীয় নির্বাচনে।

এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। নির্বাচনী উপকরণের দাম বাড়ায় এবং নির্বাপত্তা ব্যবস্থাসহ সব খাতেই এবার খরচ বাড়বে। এসব কারণে নির্বাচনী বছরে অর্থ বরাদ্দও বেশি থাকে কমিশনের নামে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান কার্যক্রম পরিচালনায় এ বছর ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন খাতে ব্যয় ২১০ কোটি টাকা।

গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বরাদ্দের তুলনায় বেশি ৯৪২ কোটি টাকা এবং বিগত পাঁচ বছরের তুলনায় এ বরাদ্দ বেড়েছে এক হাজার ৪৬ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে পাওয়া গেছে এ তথ্য। তবে এ বরাদ্দের বাইরে বহুল আলোচিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবহার প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি। এটি সম্প্রতি একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই অর্থের চেয়েও আরও বেশি ব্যয় হবে বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন। যে কারণে তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আরও অর্থ চাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে চাহিদা অনুযায়ী অর্থের জোগান দেয়ার ব্যাপারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি নির্দেশনা দেয়া আছে। ওই আলোকে কমিশন চাইলে অর্থের জোগান পেয়ে যাবে।

জানা গেছে, দশম সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনে বরাদ্দ ছিল (২০১৩-২০১৪ অর্থবছর) ১ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। এতে জাতীয় নির্বাচনের জন্য ৫০০ কোটি টাকা ও উপজেলা পরিষদের জন্য সমপরিমাণ অর্থ বরাদ্দ ছিল।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের বাজেট ছিল ৯৫৩ কোটি টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের বাজেট ছিল ৮০১ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে ইসির বরাদ্দ দাঁড়ায় ১ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে ইসির বরাদ্দ ছিল ৮৪৯ কোটি টাকা।