আকাশসীমা লঙ্ঘনের সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: বেসামরিক বিমান চলাচলের সুরক্ষা, নিরাপত্তা, নিয়ন্ত্রণ ও সংশ্লিষ্ট বিধানগুলো যুগোপযোগী করতে জাতীয় সংসদে ‘বেসামরিক বিমান চলাচল বিল-২০১৭’ উত্থাপন করা হয়েছে। এই বিলে অবৈধভাবে বাংলাদেশের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাত বছর ও সর্বনিম্ন তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ন্যূনতম দুই কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া নীতিমালা না মেনে বিমান চালাচলে কমপক্ষে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

বুধবার রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। বিলটি উত্থাপনে আপত্তি জানান বিরোধী দলীয় সদস্য মো. ফখরুল ইমাম। কিন্তু তার আপত্তি কণ্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে কমিটিকে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনে ফ্লাইটে নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিয়োগের বিধান, বিমান দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবারকে সহায়তা, বেসামরিক বিমান হিসেবে রাষ্ট্রীয় বিমানের ব্যবহার, বেসামরিক বিমান চলাচল ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য বেআইনি আচরণের বিরুদ্ধে নিরাপত্তার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত বিল, বিধি, প্রবিধানের কোনো শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দণ্ড প্রদানের বিধান সংযোজন করা হয়েছে। সেখানে নীতিমালা লঙ্ঘনকারীদের পাশাপাশি এ অপরাধে সহায়তাকারীদের জন্যও শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

বিলের কারণ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে পর্যটনমন্ত্রী সংসদে বলেন, এ বিলটি পাস হলে বেসরকারি বিমান চলাচলে একটি নতুন মাত্রা যোগ হবে। এতে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে। ফলে দুর্ঘটনা অনেকটা এড়ানো সম্ভব হবে। এছাড়া নতুন আইনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত কনভেনশন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ