আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করা যায় না : মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণ নির্যাতকারী রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের যে বিষয়গুলো মূল শক্তি ছিল, তা থেকে সরে গিয়ে তারা এখন অর্থ উপার্জনকারী দুর্নীতিতে নিমজ্জিত রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। জনগণের সুখ-দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই, তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

মির্জা ফখরুল আজ বৃহস্পতিবার সকালে তার নিজ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়ির বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপির অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ফখরুল আরো বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করা যায় না। কারণ জনগণের যে আশা মালিকানা তা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে। কয়েকজন ব্যক্তি ও আমলার সঙ্গে যোগসাজশ করে সারা দেশকে তারা শোষণ করছে। বাংলাদেশ এখন দুর্নীতিতে চরম স্থানে পৌঁছেছে, যা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত স্বীকার করছেন। একজন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টরের শুধু  ঢাকা শহরে ১৮টি বাড়ি হলে সমস্ত প্রশাসনের কী অবস্থা হতে পারে। এই ব্যবস্থাকে নিরসন করার জন্য কোনো ব্যবস্থা তাদের মধ্যে নেই।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যেসব কথা বলেন, সেগুলো তিনি তার নেতাকে তোষামোদি করার জন্যই বলেন, এ ছাড়া এর কোনো কারণ নেই। খালেদা জিয়ার যে মামলা, সেটি সাজানো, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় জামিন পাওয়ার যে অধিকার তা থেকেও তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বিএনপি তার মুক্তি ও মামলা থেকে অব্যাহতি দাবি জানিয়ে আসছে।

বিএনপির আন্দোলনের বিষয়ে ফখরুল বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাবে না কখন আন্দোলন শুরু হবে। অতীতে বিরোধীদলীয় যে জোট ছিল তা ভেঙে যায়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে বিএনপি। সবার মতামত ও পরামর্শ নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে বিএনপি।

তালেবান ইস্যুতে বিএনপির কোনো মতামত নেই। সেটি আফগানিস্তানের বিষয়। তবে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ বিএনপি সমর্থন করে না। বিএনপি আশা করে, আফগানিস্তানে যে সরকার আসুক তারা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও মৌলিক অধিকারকে মূল্যায়ন করবে।

 

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ