অলিম্পিকে লাভের বদলে ক্ষতির মুখে জাপানের ব্যবসায়ীরা

অলিম্পিক গেমস-বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্রীড়া আসর। প্রতি চার বছর অন্তর বিশ্ব সেরা গেমসের আয়োজন শুধু মর্যাদারই নয়, আয়োজকদের অর্থনীতিতেও বিশাল প্রভার রাখে। ফলে কোটি কেটি ডলার খরচ করে আয়োজকরা শুধু বিড করার জন্যই, তারপরও গেমসের আয়োজন আরেক বিশাল খরচের বিষয়। তবে স্পন্সর ও টিভি রাইটসই নয়, পর্যটন খাত থেকেও বিশাল আয় হয় আয়োজকদের। তবে এবারের চিত্রটা পুরোপুরি ভিন্ন।

করোনা মহামারির মধ্যেও টোকিও অলিম্পিকে মাঠের লড়াইয়ে আলো ছড়াচ্ছেন ক্রীড়াবিদরা। তবে দর্শক না থাকায় মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।  কোনো বিদেশি দর্শক নেই, এমনকি স্থানীয়রাও যেতে পারছেন না। তাই বিপনি বিতানগুলোতে নেই তেমন কোনো ক্রেতা। উপায় না পেয়ে ক্ষতি কাটাতে অনেকেই পাট চুকিয়ে ফেলেছেন নিজেদের দীর্ঘদিনের পুরনো ব্যবসার। হোটেল বা দোকানে শুরু করেছেন অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টার।

গেমস কাভার করতে আসা কোনো সংবাদমাধ্যমকর্মী বা যে কোনো কাজে আসা জাপানিদের কোয়ারেন্টিনের জন্য সে ঘরগুলো ভাড়া দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন তারা। বিকল্প ব্যবসায় কিছুটা হলেও দেখা মিলেছে লাভের। চমৎকার উপহার সামগ্রীর দোকানে যখন ক্রেতায় ঠাসা হওয়ার কথা তখন ঠিক ভিন্ন চিত্র। ক্রেতার অভাবে বিক্রেতার মাথায় হাত। অলিম্পিক যখন যে দেশেই হয়েছে, সে দেশই সমৃদ্ধ হয়েছে অর্থনৈতিকভাবে। কিন্তু বিশ্ব ক্রীড়ার ৩২তম আসরটা ব্যবসায়ীদের জন্য শুধুই হতাশার।

পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকলে ব্যবসা করেও লাভের মুখ দেখতে পারতেন তারা। বর্তমান পরিস্থিতিতে হতাশ ব্যবসায়ীরা।ক্ষতিগ্রস্ত একজন  ব্যবসায়ী জানান, ‘দোকানে বাহারি জিনিসপত্র সাজিয়ে রেখেছি।  সারাদিন বসে থেকেও কোনো বিক্রি নেই। এমন খারাপ অবস্থা আমি জীবনেও দেখিনি। করোনা শুরুর পর থেকেই ক্ষতির মুখে ছিলাম আমরা। ভেবেছিলাম সেখান থেকে উঠে দাঁড়াতে পারব। কিন্তু তাও হলো না।’

তবে শত কষ্টের মাঝেও নিজেদের মাটিতে আয়োজিত অলিম্পিক সফলভাবে শেষ হোক এটাই চাওয়া জাপানি নাগরিকদের।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ