অবশেষে জানা গেল যুবক করোনায় আক্রান্ত নন, সবই ছিল গুজব

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

পাবনার বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে থাকা যুবক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তাঁর নমুনা পাঠানোর পর সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) মৌখিকভাবে আজ রোববার এ কথা জানিয়েছে। ওই যুবক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গুজবে তাঁকে নিয়ে একের পর এক সব ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ থেকে এক যুবক (২৬) গত ২৫ মার্চ বেড়া উপজেলায় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। তিনি ট্রেনে হকারি করেন। শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পর তিনি জ্বর ও গলাব্যথায় আক্রান্ত হন। বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে ওই তরুণ করোনায় আক্রান্ত গুজবে এলাকাবাসী তাঁর শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয়। পরের দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ আনাম সিদ্দিকী এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সরদার মো. মিলন মাহমুদ সেখানে গিয়ে তাঁকে উপজেলার ডাকবাংলোতে আইসোলেশনে রাখেন। এ ছাড়া তাঁর শ্বশুরবাড়ির ১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই যুবককে গত ২৯ মার্চ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। করোনা ইউনিটটি সাধারণ রোগীদের ওয়ার্ড থেকে যথেষ্ট দূরে আলাদা ভবনে। এরপরও তাঁকে ভর্তি করা খবরে সাধারণ ওয়ার্ডে থাকা ৪০ জন রোগীর মধ্যে ৩৭ জন রোগী আতঙ্কে পালিয়ে যান।

বেড়া পৌরসভার মেয়র আবদুল বাতেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ২৫টি করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট দেন। সেটা দিয়ে পরীক্ষা করে জানা যায়, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিলন মাহমুদ বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিট দিয়ে পরীক্ষা করা হলেও শতভাগ নিশ্চিত হতে ওই যুবকের নমুনা আমরা ঢাকায় পাঠিয়েছিলাম। ঢাকা থেকে আমাদের মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে তিনি করোনায় আক্রান্ত নন। এ ছাড়া ওই যুবক চিকিৎসায় সুস্থও হয়ে গেছেন। তারপরও তাঁকে সব মিলিয়ে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখব।’

ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন, ‘মৌখিকভাবে ওই যুবক করোনামুক্ত বলে জানা গেলেও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন এখনো আসেনি। সেটা পাওয়া গেলে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্ত করা হবে।’