সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
রবিবারের পর সোমবারটা যেন আসে ঝড়ের গতিতে। মজাদার উইকেন্ড কাটিয়ে ফের অফিসে আসতে অনেকেরই গায়ে জ্বর আসে। আজ কি অফিস না গেলেই নয়! কোনও রকমে বসকে ম্যানেজ করে ছুটি নিতে পারলেই কেল্লাফতে। কিন্তু, অজুহাত কী দেবেন, ভাবছেন? দেখুন তো আপনি কখনও এই অজুহাতগুলি দিয়েছেন কিনা?
এক মহিলা কর্মী নাকি একবার বলেছিলেন, ভুল করে তিনি একটি বিমানে উঠে গিয়েছিলেন। তারপর বিমানটি ছেড়ে দেয়। অতএব, অফিসে ডুব। আশ্চর্যের বিষয়, তাঁর কথা নাকি মেনেও নেওয়া হয়েছিল।
সবচেয়ে হাস্যকর অজুহাত দিয়েছিলেন বোধহয় ইনি। বসকে জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ির সব জানলা-দরজা কেউ আঠা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। অতএব, বাড়িতেই বন্দি হয়ে থাকা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। ভাবুন তো, এমন আঠাও নাকি বাজারে পাওয়া যায়!
বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ডেট আছে। এ দিকে অফিসেও রয়েছে জরুরি মিটিং। কী করবেন? এমন পরিস্থিতিতে এক মহিলা কর্মী বসকে কী বলেছিল জানেন? তাঁর মাথায় বাদুড় আটকে গিয়েছে। চুল থেকে বাদুড়দের ছাড়াতে অনেক সময় লেগে যায়। তাই তাঁর অফিসে আসা সম্ভব নয়।
ক্রিয়েটিভ কোনও অজুহাত দিতে পারেন। যেমন, বললেন আপনার জামা কাপড়ে আগুন ধরে গিয়েছে। কারণ আপনি সেগুলো মাইক্রোওয়েভে ড্রাই করতে দিয়েছিলেন!
কখনও মিথ্যা বলেন না? এ দিকে ছুটি তো নিতেই হবে। বসকে বলুন, আজ আপনার মুড খুব ভাল। কিন্তু, অফিসে ঢুকলেই সেই কাজ এবং চারপাশে আপনার চূড়ান্ত অপছন্দের কিছু সহকর্মী। অতএব, মুড ভাল রাখতে একটা দিন ছুটি চাই।
অফিসে ডুব দিয়েছেন? বসকে বলুন আপনার ভুলে যাওয়ার রোগ রয়েছে। মাঝে মাঝেই আপনার সামনে সব ব্ল্যাঙ্ক হয়ে যায়। আপনি যে চাকরি করেন সেটাই বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন!
এমন বাহানাও যদি দেওয়া যেত, কতই না ভাল হত! যেমন এক মহিলা কর্মী তাঁর বসকে বলেছিলেন, তাঁর ওয়ারড্রোবে সব পুরনো জামাকাপড়। অতএব, অফিসে পরে যাওয়ার বিশেষ কিছুই নেই। তাই তিনি অফিসে যেতে পারবেন না।
যদি আত্মবিশ্বাসী হন, তাহলে সামনে বসেই বসকে বলুন আপনি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কাজ করতেই পারছেন না। তারপর, দেখুন কী হয়?