যাবে নাকি এই খালি ?
ক্রিং ক্রিং দিচ্ছিস তালি
শব্দ দূষণ করছিস পাজি
বহন করতে কি হবে রাজি ?
কোথায় যাবেন বলুন সাহেব ?
যাবার আগেই কষব হিসেব ।
যেতে চাস কত দিলে ?
দ্রুত করে দে বলে ।
কত দিলে মিটবে খায়াশ ?
যদি দেন এক পঞ্চাশ ।
দশ টাকা দেব এক হালি
মিটবে তবে কি লোভের ডালি ?
কথা হয়েছে ঢের অতিশয় !
এবার উঠুন, চলুন মহাশয় ।
সাহেব এবার রিকশায় চড়ি
ঝমক-ধমক মারছে ঝাড়ি ;
দ্রুত চল ব্যাটা জলদি করি
অফিস যে আমার হচ্ছে দেরি ।
পায়ে কি তোর বল নাই ?
খাস কি তুই সকাল-সন্ধ্যায় ?
টানওয়ালা বিড়বিড় করি, বলতে চাই
কন্ঠ দিয়ে তবু, কথা বের নাহি হয় ।
প্যাডেল চেপে ফেলে বড় দম
পেট পুরেছি দিয়ে ভ্যাকুয়াম ।
পকেট কি তোর এতই খালি ?
হুডে দেখছি দু’চার তালি ।
মেখে হবে কি ফেয়ার এন্ড লাভলী ?
উদরে যার নাই খাবার এক আধুলি !
হবে কি মশায়, বদলে গায়ের কালি ?
পেট যার দু’বেলা রয়েছে খালি !
কিছুদিন পর মাহে রমজান মাসে
রিকশা ডাকছে সাহেব অফিস শেষে ;
সাহেব আজ রিকশা চড়ে
হেলান দিয়েছে হুডে ধরে !
যাব নাকি সাহেব জলদি করে ?
তাড়া আছে নাকি আপন ঘরে !
বাছা তুই আজ ধীরে চালা ,
পেটে কি নেই তোর ক্ষুধার জ্বালা !
খোদ-পিপাসা চেপে ধরেছে ,
উঁচু কন্ঠ আজ ক্ষীণ হয়েছে ।
রোজা রেখেছেন এই কটা দিন,
আমি তো রাখি দিন পর দিন –
বলিস না বাছা আর, মরি লজ্জায়
সোজা হয়েছি রোজার সজ্জায় !
রোজা ভুলিয়েছে আমার বদ স্বভাব
তব অনুভূতি করছি অনুভব !
সিয়াম ফিরিয়ে এনেছে হুঁশ
অমানুষের ‘অ’ পুড়িয়ে করেছে মানুষ ।
-আমিনুল ইসলাম নোবেল